ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করছে: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
Published: 29th, May 2025 GMT
ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট বলেছেন, তার দেশ গাজায় যুদ্ধাপরাধ করছে। সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছে।
ইসরায়েলের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং সেনাবাহিনীর আচরণের তীব্র সমালোচনা করে ওলমার্ট জানিয়েছেন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের বিরুদ্ধে তিনি আর ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সক্ষম নন।
২০০৬-২০০৯ সাল পর্যন্ত দেশটির নেতৃত্ব দেওয়া ওলমার্ট গাজায় ইসরায়েলের ১১ সপ্তাহের মানবিক সহায়তা অবরোধ এবং ফিলিস্তিনিদের নিহত হওয়ার ক্রমবর্ধমান সংখ্যার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
গাজায় মার্কিন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ক্ষুধার্তদের হামলা, ইসরায়েলের গুলি
গাজায় নতুন করে ৪০ শতাংশ এলাকা খালি করার নির্দেশ ইসরায়েলের: জাতিসংঘ
তিনি বলেছেন, “এটি যুদ্ধাপরাধ না হলে আর কী?প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সরকারের অতি-ডানপন্থী সদস্যরা এমন কর্মকাণ্ড করছেন যা অন্য কোনোভাবে ব্যাখ্যা করা যায় না।”
২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ওলমার্ট গাজায় গণহত্যা এবং জাতিগত নির্মূলের অভিযোগের বিরুদ্ধে বিদেশে ইসরায়েলকে রক্ষা করেছেন। যখন নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়েছিল, তখন ওলমার্ট বলেছিলেন, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করবে না।
কিন্তু ১৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধের পর ওলমার্ট মনে করেন, এক বছর আগে যুদ্ধ শেষ হওয়া উচিত ছিল।
মঙ্গলবার ইসরায়েলের হারেটজ পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধে ওলমার্ট লিখেছেন, “আমরা এখন গাজায় যা করছি তা ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ: নির্বিচারে, সীমাহীন, নিষ্ঠুর এবং বেসামরিক নাগরিকদের অপরাধমূলক হত্যা।”
গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ৫৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে কমপক্ষে ২৮ হাজার নারী ও শিশু রয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল য দ ধ পর ধ ইসর য় ল ওলম র ট ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।