নাম শুনেই যে কজন মানুষের প্রতি আমরা শ্রদ্ধায় আনত হই, গভীর ভালোবাসা অনুভব করি; অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তিনি এমনই এক সোনার মানুষ ছিলেন, যিনি প্রাণ-প্রকৃতিকে ভালোবাসার এক অনুকরণীয় জীবন যাপন করে গেছেন। বন–প্রান্তরে ঘুরে ঘুরে উদ্ভিদ ও প্রকৃতির সুখ-দুঃখের গল্প তিনি শুনেছেন, শুনিয়েছেনও। এই দেশে তাঁর মতো দরদমাখা এমন বৃক্ষকথা কে আমাদের শুনিয়েছে? বহুমাত্রিক লেখালেখি, অধ্যাপনা ও সমাজসেবার পাশাপাশি তিনি বৃক্ষরোপণের মতো আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজও করেছেন। তাঁর জীবন ও কর্মের এই বিশেষ দিকটি কখনো ততটা গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়নি।
রমনা পার্কে দ্বিজেন শর্মার রোপণ করা পালাম ফুল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।