ঢেউয়ের আঘাতে ভাঙছে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ
Published: 30th, May 2025 GMT
নিম্নচাপের প্রভাবে সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শেষাংশে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতায় মেরিন ড্রাইভে আঘাত হানছে। এতে টেকনাফ অংশের দুই কিলোমিটারের বিভিন্ন জায়গায় চারটি অংশে ভাঙন ধরেছে। ভাঙন প্রতিরোধে দেওয়া জিও টিউব ব্যাগ ফুটো হয়ে ক্রমেই বিলীন হচ্ছে। পাশাপাশি জোয়ারে ভেঙে পড়া ঝাড় গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়রা।
এর আগে গত বছর ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে পূর্ণিমার জোয়ারের ধাক্কায় মেরিন ড্রাইভের একই অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছিল। ওই সময় সেনাবাহিনীর ইসিবি (ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন) জিও টিউব ব্যাগের মাধ্যমে মাটির বাঁধ দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধ করে।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, জোয়ারের ধাক্কায় মেরিন ড্রাইভের বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হচ্ছে। ধসে পড়ছে জিও টিউব বাঁধ। টেকনাফের মুন্ডার ডেইল, বাহারছড়া ও শীলখালীর একটি অংশ ভেঙে গেছে। এ সময় জোয়ারে আঘাতে ভেঙে পড়া ঝাড় গাছ সাবরাং মুন্ডার ডেইল ঘাটে দুই শ্রমিক দিয়ে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় মো.
জানতে চাইলে ফিরোজ বলেন, সাগরের জোয়ারের আঘাতে বেশ কিছু ঝাড় গাছ ভেঙে পড়েছে। অনেকে সেই গাছ নিয়ে যাচ্ছে। তবে এই গাছ আমি নিয়ে যাচ্ছি না। ওই দুই শ্রমিকরা গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ সলিম বলেন, শুক্রবার দুপুরে মেরিন ড্রাইভের মুন্ডার ডেইল ও বাহারছড়া ঘাটে কয়েকটি অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন তীব্র হচ্ছে। সড়কের পশ্চিম পাশে বসানো জিও ব্যাগের বাঁধ বিলীন হচ্ছে। তবে গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, মেরিন ড্রাইভের অনেক জায়গায় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে সমুদ্রের বালু তুলে জমি ভরাট করছেন। সৈকত থেকে অবাধে বালু তোলায় মেরিন ড্রাইভের গোড়ার অংশ নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। এখন জোয়ারের ধাক্কায় নড়বড়ে অংশের মেরিন ড্রাইভে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। এছাড়া মেরিন ড্রাইভের ভেঙে যাওয়া অংশগুলো সমুদ্র তীর থেকে বালু ভাঙন রোধ করছে। সেই কারণেও বারবার এসব এলাকাগুলো ভাঙছে।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ভাঙনের খবরে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। মেরিন ড্রাইভের রক্ষণাবেক্ষণ করে সেনাবাহিনী। ঢেউয়ের আঘাতে মেরিন ড্রাইভের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া ঝাড় গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া বিষয়টি দেখা যাচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ট কন ফ
এছাড়াও পড়ুন:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. আরিফুল। শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে তিনি ভবন থেকে পড়ে যান বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিংতম বলেন, বেলা এগারোটার দিকে কয়েকজন ওই শ্রমিককে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে তখনই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নির্মাণাধীন ভবনটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোমিনুল করিম শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটির নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু শ্রমিক ওই ভবনে থাকেন। দুপুরের দিকে তিনি জানতে পারেন একজন শ্রমিক ভবন থেকে পড়ে গেছেন। তাঁকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সন্ধ্যাবেলায় তাঁকে জানানো হয় ওই শ্রমিক মারা গেছেন।
তবে এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর থেকে একজন রোগীকে আনা হয়েছিল। উনি ছাদ থেকে পড়ে গেছেন বলে জানানো হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।
শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আধা ঘণ্টা আগে খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এমন একটি ঘটনা আমাদের আগে জানানো হয়নি কেন, তা জিজ্ঞাসা করেছি। বিষয়টি প্রো-ভিসি (এডমিন) দেখছেন।’