ভারত থেকে দেশে ফেরার পথে ২৮ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কোচবিহারের দিনহাটা রেল স্টেশন চত্বর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৮ জন মহিলা এবং ৯ শিশু রয়েছে। তাদের বাড়ি বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলায়। এরা দিল্লি, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সম্প্রতি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে ওইসব রাজ্যে পুলিশি তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় তারা দেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। প্রায় দুই দশক আগে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন তারা। হরিয়ানায় তারা স্থায়ীভাবে বাস করছিলেন।

পুলিশ আরো জানিয়েছে, হরিয়ানা থেকে ওই বাংলাদেশিরা পালিয়ে বিহারের গয়াতে চলে আসেন। এর পর সেখানেও পুলিশি অভিযান শুরু হয়। সেখান থেকে তারা বৃহস্পতিবার গাড়িতে করে দিনহাটা শহরে আসেন। প্রবল বৃষ্টির কারণে গভীর রাতে তারা দিনহাটা রেল স্টেশন চত্বরে আশ্রয় নেয়। সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাদের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়লে পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখে পুলিশ। 

শুক্রবার ২৮ জনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালত তাদের ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে । 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পা পিছলে ট্রেনের নিচে সবজি বিক্রেতা, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

চলন্ত ট্রেনের সামনে দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি। পাশাপাশি দুটি ট্রেন তুলনামূলক কম গতিতে চলছিল। হঠাৎ একটি ট্রেনের সামনে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান তিনি। ট্রেনটি চলে যায় তাঁর শরীরের ওপর দিয়ে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির নাম জালাল উদ্দিন ওরফে জালু (৪০)। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চরআলগী ইউনিয়নের নিধনিয়া চর ব্যাপারী পাড়ার বাসিন্দা ও পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।

দুর্ঘটনার পর জালাল উদ্দিনকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা বিজন মালাকার।

স্বজনেরা জানিয়েছেন, জালাল উদ্দিন এলাকায় কৃষিকাজ করেন এবং সেখান থেকে কৃষিপণ্য নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে বিক্রি করেন। তিনি প্রায়ই ট্রেনে চেপে শ্রীপুর যান এবং রাতের ট্রেনে বাড়ি ফেরেন। গতকাল দুপুরে শাকসবজি নিয়ে ট্রেনে শ্রীপুর যান। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ধরতে রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি দৌড় দেন। এ সময় ট্রেনটি শ্রীপুর স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাচ্ছিল। সেটি ধরতে গিয়ে পাশের রেললাইনে থাকা ঢাকাগামী মহুয়া এক্সপ্রেসের ট্রেনের নিচে পড়ে যান জালাল উদ্দিন।

নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী ও গফরগাঁও কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্যাপারী জানান, আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে জালাল উদ্দিনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় তাঁর পরিবার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারাল।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আবদুল বারিক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ