বুবলীর ইঙ্গিপূর্ণ স্ট্যাটাসের পোস্ট মর্টেম করছেন নেটিজেনরা
Published: 30th, May 2025 GMT
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত দুই নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী। মূলত, শাকিব খানকে কেন্দ্র করে এই দুই নায়িকার দ্বন্দ্ব বহু দিন ধরে চলছে। যদিও শাকিব খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন— অপু-বুবলী দুজনেই তার অতীত। দুজনের কারো সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই। তারপরও নানা সময়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করতে দেখা যায় শাকিবের এই দুই প্রাক্তন স্ত্রীকে।
গত ২৭ মে বেশ কটি ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন বুবলী। তাতে দেখা যায়, ছোট ছেলে বীরের সঙ্গে আনন্দঘন মুহূর্ত উপভোগ করছেন শাকিব খান। এসব ছবির ক্যাপশনে বুবলী লেখেন, “পরিবার: যেখানে জীবন শুরু, ভালোবাসা কখনো শেষ হয় না।”
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরই অপু বিশ্বাস বেশ কটি ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন। তাতে বড় পুত্র জয়ের সঙ্গে শাকিব খানকে দেখা যায়। এ ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “বাবা এমন একটি শব্দ যার সাথে সন্তানের বন্ধন কথায় কথায় প্রমাণ দেয়ার কিছুই নেই। তাও বাবা-ছেলের প্রতিদিনের এই খুনসুটি আর মমত্ববোধ চলতেই থাকবে, আর মুহূর্তগুলো ফ্রেমে আটকে থাকবে।”
আরো পড়ুন:
শাকিব-বীরের ছবি, ক্যাপশনে বুবলী-অপুর ঠান্ডা যুদ্ধ!
হঠাৎ কলকাতায় শাকিব, সঙ্গী জয়া
এরপর বুবলী-অপুর পাল্টাপাল্টি পোস্ট নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। নেটিজেনরাও এই দুই তারকাকে নিয়ে ‘তিরস্কার’ করতে থাকেন। যদিও এ যাত্রায় সমালোচনার তির অপু বিশ্বাসের দিকেই বেশি ছিল। তবে গত দুদিন এ নিয়ে নীরবতা পালন করেন বুবলী, টুঁ-শব্দটিও করেননি।
শুক্রবার (৩০ মে) বুবলী তার ফেসবুকে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। এ ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “মানুষের সত্যিকারের ঈর্ষা তখনই দেখা যায়, যখন আপনার কাজ নকল করতে শুরু করে। সুতরাং এসব উপেক্ষা করে সময়টা উপভোগ করুন।” বুবলী পোস্টটি দেওয়ার পর চাপাপড়া বিষয় নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।
বুবলীর ইঙ্গিপূর্ণ পোস্ট নিয়ে নেটিজেনরা পোস্ট মর্টেম শুরু করছেন। বুবলী তার ক্যাপশনে অপু বিশ্বাসের নাম উল্লেখ না করলেও দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে ভুল হচ্ছে না নেটিজেনদের। তাদের ভাষ্য— “এই ইঙ্গিতপূর্ণ ক্যাপশনটি অপুকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া। অপু তাকে নকল করছেন, ঈর্ষা করছেন, সেই বার্তাই দিয়েছেন বুবলী। যদিও অপু বিশ্বাসের নাম উল্লেখ করেননি তিনি।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপ ব শ ব স র ক য পশন করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।