ঢাকাই সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত দুই নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী। মূলত, শাকিব খানকে কেন্দ্র করে এই দুই নায়িকার দ্বন্দ্ব বহু দিন ধরে চলছে। যদিও শাকিব খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন— অপু-বুবলী দুজনেই তার অতীত। দুজনের কারো সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই। তারপরও নানা সময়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করতে দেখা যায় শাকিবের এই দুই প্রাক্তন স্ত্রীকে।

গত ২৭ মে বেশ কটি ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন বুবলী। তাতে দেখা যায়, ছোট ছেলে বীরের সঙ্গে আনন্দঘন মুহূর্ত উপভোগ করছেন শাকিব খান। এসব ছবির ক্যাপশনে বুবলী লেখেন, “পরিবার: যেখানে জীবন শুরু, ভালোবাসা কখনো শেষ হয় না।”

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরই অপু বিশ্বাস বেশ কটি ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন। তাতে বড় পুত্র জয়ের সঙ্গে শাকিব খানকে দেখা যায়। এ ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “বাবা এমন একটি শব্দ যার সাথে সন্তানের বন্ধন কথায় কথায় প্রমাণ দেয়ার কিছুই নেই। তাও বাবা-ছেলের প্রতিদিনের এই খুনসুটি আর মমত্ববোধ চলতেই থাকবে, আর মুহূর্তগুলো ফ্রেমে আটকে থাকবে।”

আরো পড়ুন:

শাকিব-বীরের ছবি, ক্যাপশনে বুবলী-অপুর ঠান্ডা যুদ্ধ!

হঠাৎ কলকাতায় শাকিব, সঙ্গী জয়া

এরপর বুবলী-অপুর পাল্টাপাল্টি পোস্ট নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। নেটিজেনরাও এই দুই তারকাকে নিয়ে ‘তিরস্কার’ করতে থাকেন। যদিও এ যাত্রায় সমালোচনার তির অপু বিশ্বাসের দিকেই বেশি ছিল। তবে গত দুদিন এ নিয়ে নীরবতা পালন করেন বুবলী, টুঁ-শব্দটিও করেননি।

শুক্রবার (৩০ মে) বুবলী তার ফেসবুকে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। এ ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “মানুষের সত্যিকারের ঈর্ষা তখনই দেখা যায়, যখন আপনার কাজ নকল করতে শুরু করে। সুতরাং এসব উপেক্ষা করে সময়টা উপভোগ করুন।” বুবলী পোস্টটি দেওয়ার পর চাপাপড়া বিষয় নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

বুবলীর ইঙ্গিপূর্ণ পোস্ট নিয়ে নেটিজেনরা পোস্ট মর্টেম শুরু করছেন। বুবলী তার ক্যাপশনে অপু বিশ্বাসের নাম উল্লেখ না করলেও দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে ভুল হচ্ছে না নেটিজেনদের। তাদের ভাষ্য— “এই ইঙ্গিতপূর্ণ ক্যাপশনটি অপুকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া। অপু তাকে নকল করছেন, ঈর্ষা করছেন, সেই বার্তাই দিয়েছেন বুবলী। যদিও অপু বিশ্বাসের নাম উল্লেখ করেননি তিনি।” 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপ ব শ ব স র ক য পশন করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর

চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।

পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।

সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।

পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ