Risingbd:
2025-07-29@20:19:36 GMT

গরুর মাংসের ‘ইরানি ভুনা’

Published: 31st, May 2025 GMT

গরুর মাংসের ‘ইরানি ভুনা’

অল্প কয়েকটি উপাদান যোগ-বিয়োগ করে রান্নায় নতুনত্ব যোগ করা যায়। যারা দেশ বিদেশের রান্না পছন্দ করেন তারা ঈদে গরুর মাংসের ইরানি ভুনা রান্না করতে পারেন। জেনে নিন রেসিপি।

উপকরণ:

গরুর মাংস: ৩ কেজি

আরো পড়ুন:

ঈদে অতিথি আপ্যায়নে থাকুক ‘আমের পায়েস’

মেদ ঝরাবে ডিমের সালাদ

কিশমিশ বাটা: ১ টেবিল চামচ

আমন্ড বাদাম বাটা: ২ টেবিল চামচ

পেস্তাবাদাম বাটা: ১ টেবিল চামচ

খোবানি বাটা: ২ টেবিল চামচ

আলু বোখারা বাটা: ১ টেবিল চামচ

লাল মরিচগুঁড়া: ১ টেবিল চামচ

হলুদগুঁড়া: আধা চা-চামচ

জিরা বাটা: ১ চা-চামচ

ধনিয়া বাটা: ১ চা-চামচ

গরম মসলাগুঁড়া: ১ চা-চামচ

গোল মরিচগুঁড়া: ১ চা-চামচ

লবণ: স্বাদমতো

দারুচিনি: ৪ টুকরা

বড় এলাচি: ২টি

ছোট এলাচি: ৪টি

লবঙ্গ: ৬টি

টকদই: আধা কাপ

পেঁয়াজকুচি: দেড় কাপ

বাটার অয়েল: ১ কাপ

তেল: আধা কাপ

চিনি: ১ চা-চামচ

জায়ফল-জয়ত্রীগুঁড়া: আধা চা-চামচ

আস্ত কাজু-আমন্ড-পেস্তা: আধা কাপ

খোবানি ও আলু বোখারা: আধা কাপ।

প্রথম ধাপ: শুরুতে মাংসে আদা, রসুন, জিরা, ধনিয়া বাটা, জায়ফল-জয়ত্রী, হলুদ, মরিচগুঁড়া, টকদই ও লবণ মেখে ৪-৫ ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখুন।  এই সময়ের মধ্যে মাংস মাঝে মাঝে নেড়েচেড়ে দিন।

দ্বিতীয় ধাপ: চুলায় তেল গরম করে আধা কাপ পেঁয়াজ লাল করে ভেজে নিন। এবার এতে আগে থেকে ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে নেড়ে দিন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। রান্না করার সময়  মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। 

তৃতীয় ধাপ: কিছুক্ষণ পর আস্ত আলু বোখারা ও খোবানি দিয়ে দিন। মাংস তেলের ওপর আসলে পানি দিয়ে সেদ্ধ করুন।

চতুর্থ ধাপ:  একটি আলাদা পাত্রে বাটার অয়েলে পেঁয়াজ লাল করে ভেজে নিন। এতে বাকি সব উপকরণ দিয়ে ভুনে নিন। এরপর এতে মাংস আমন্ড-পেস্তা-কাজু ও গরম মসলার গুঁড়া দিয়ে ভুনা ভুনা করে মাংস চুলা থেকে নামিয়ে নিন।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ সন্দেহে তরুণ গ্রেপ্তার, বোমা তৈরির উপকরণ জব্দ

শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভার বিশাকুড়ি এলাকা থেকে জঙ্গি সন্দেহে পুলিশ এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে ওই তরুণের বাসা থেকে বোমা তৈরির উপকরণ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত শনিবার সন্ধ্যায় আফতাব উদ্দিন ওরফে আবির (১৯) নামের ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার তিনি শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

পুলিশ জানায়, আফতাব উদ্দিনের জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা রয়েছে ও নাশকতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যায় তাকে বাড়ির সামনের সড়ক থেকে আটক করা হয়। এরপর ঢাকা থেকে রাতে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল ডামুড্যায় আসে। তারা আফতাব উদ্দিনের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। ওই বাড়ি থেকে বোমা তৈরির উপকরণ উদ্ধার করা হয়।

পরের দিন রোববার ডামুড্যা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন বাদী হয়ে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আফতাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। আদালতের বিচারকের কাছে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর তাঁকে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওই তরুণ অনলাইন মাধ্যমে যুক্ত থেকে জঙ্গিবাদে স্বেচ্ছায় উদ্বুদ্ধ (সেলফ মোটিভেটেড) হওয়ার কথা পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সে কিছু একটা করবে, এমন চেষ্টা করছিল। তার আগেই আমরা তাকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। তবে আইএসের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ আছে কি না, তা নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে তার দিকে (আইএস) সে উদ্বুদ্ধ হয়েছে, এমন বলেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’

ডামুড্যা থানা সূত্র জানায়, ডামুড্যা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিশাকুড়ি এলাকার বাসিন্দা আফতাব উদ্দিন। তিনি ডামুড্যা উপজেলা সদরের পূর্ব ডামুড্যা সরকারি কলেজ থেকে চলতি এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তাঁর বাবা আবদুল মালেক হাওলাদার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। কয়েক বছর আগে মারা গেছেন।

এ বিষয়ে জানতে আফতাব উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আফতাব উদ্দিন নামের এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে তাঁর বাড়ি তল্লাশি করলে বোমা তৈরির উপকরণ পাওয়া যায়। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি কী বলেছেন, তা তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে বলা যাবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শরীয়তপুরে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ সন্দেহে তরুণ গ্রেপ্তার, বোমা তৈরির উপকরণ জব্দ
  • ১০ তলা ভবন নির্মাণে খরচ কত