নোয়াখালীতে ‘মারধরে’ বৃদ্ধের মৃত্যু
Published: 31st, May 2025 GMT
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় প্রতিবেশীদের মারধরে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর নাম কৃষ্ণধন দেবনাথ (৬৫)। তিনি উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মধ্য বদলকোট গ্রামের লালু ডাক্তার বাড়ির বাসিন্দা। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে বাড়ির উঠানে জমে থাকা পানিনিষ্কাশন নিয়ে দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া হয় কৃষ্ণধনের। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ওই দুই প্রতিবেশী কৃষ্ণধনকে মারধর করেন। পরে সন্ধ্যার দিকে কৃষ্ণধনের মৃত্যু হয়। বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নিজের জায়গা দিয়ে প্রতিবেশীর বাড়ির পানিনিষ্কাশনে বাধা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৃষ্ণধনকে মারধর করা হয়। পরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করার সময় তাঁর ডান হাতের কনুইতে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
পানি নিষ্কাশন নিয়ে বিরোধে প্রাণ গেল বৃদ্ধের
নোয়াখালীর চাটখিলে পানি নিষ্কাশন নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের মারধরে কৃষ্ণধন দেবনাথ (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৩০ মে) উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মধ্য বদলকোট গ্রামের লালু ডাক্তার বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত কৃষ্ণধন একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য বদলকোট গ্রামের মৃত মনমোহন দেবনাথের ছেলে।
আরো পড়ুন:
ভাবিকে বাঁচাতে গিয়ে ভাইয়ের হাতে প্রাণ গেল ভাইয়ের
ঝিনাইদহে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কৃষ্ণধনের জায়গার ওপর দিয়ে তার চাচাতো ভাই রিপন দেবনাথ ও শিপন দেবনাথের বাড়ির আঙ্গিনার পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার দুপুরে পানি নিষ্কাশন নিয়ে কৃষ্ণধনের সঙ্গে রিপন ও শিপনের কথা কাটাকাটি হয়।
এরই একপর্যায়ে রিপন ও শিপন মারধর করেন কৃষ্ণধনকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাটখিল থানার ওসি ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। নিহতের শরীরে জখমের চিহ্ন ছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হবে। পরবর্তীতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/সুজন/মাসুদ