উপস্থাপনায় রজতজয়ন্তী : মিশা বললেন ‘তোমার কাজ নয়!’
Published: 31st, May 2025 GMT
সাম্প্রতিক তারকা টকশোগুলোর দৃশ্যপটে বদল এসেছে। আলোচনার কেন্দ্রে জায়গা করে নিচ্ছে অপ্রাসঙ্গিক ও ব্যক্তিগত প্রশ্ন। জনপ্রিয়তার দৌড়ে উপস্থাপকদের এই প্রবণতা অনেক সময়ই অস্বস্তিতে ফেলছে আমন্ত্রিত তারকাদের। অনেকে বিরক্তি চেপে রাখতে পারছেন না। সরাসরি বিরক্তি প্রকাশ করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এমন এক প্রেক্ষাপটে নিজের দীর্ঘ উপস্থাপনা জীবনের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে একটি আবেগঘন ফেসবুক পোস্ট দেন চলচ্চিত্র পরিচালক ও উপস্থাপক দেবাশীষ বিশ্বাস। তিনি লেখেন, “উপস্থাপক জীবন শুরু হয় ২০০০ সালে। সেই হিসাবে ২৫ বছর পূর্ণ হলো। এই শিল্পকে দিয়েছি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়। উপস্থাপনার মাধ্যমেও তারকাখ্যাতি পেয়েছি— যা এই পেশায় খুব একটা দেখা যায় না। এখনো দেশ–বিদেশে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সমানতালে কাজ করে যাচ্ছি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “গৎবাঁধা স্টাইল ভেঙে আমরা কয়েকজন উপস্থাপক এই শিল্পে এনেছি আধুনিকতার পরশ। তবে কখনোই অতিথিকে অসম্মান বা অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করার মতো অরুচিকর কৌশল নিতে হয়নি। আলু, পটল, ঝিঙে, কলা কিংবা মুলা— এসবের আশ্রয়ে অনুষ্ঠানকে রঙিন করার প্রয়োজন মনে করিনি।”
এই পোস্টের নিচে এক ভিন্ন সুরে মন্তব্য করেন জনপ্রিয় খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর। তিনি লেখেন, “তুমি মহাসমুদ্র থেকে তৈরি, সাগর। তুমি নদী–নালা খাল–বিল নিয়ে ভাবছ কেন? এটা ভাবার অনেক লোক আছে। এটা তোমার কাজ নয়। তুমি মনে রেখো, মহাসাগর থেকে তোমার সৃষ্টি। তোমার বাবার নাম দিলীপ বিশ্বাস। তুমি ইচ্ছা করলেই অনেক কিছু বলতে পারবে না, করতে পারবে না। লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার।”
ঢাকা/রাহাত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।