দারুস সালাম এলাকায় গণপিটুনিতে দুজনের মৃত্যু
Published: 31st, May 2025 GMT
রাজধানীর দারুস সালাম এলাকায় গণপিটুনিতে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির-উল-হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দারুস সালাম এলাকার আহমদনগরে গণপিটুনিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাগর উত্তাল: মাঝপথ থেকে ফেরত এলো সেন্টমার্টিনগামী ট্রলার
সাগর উত্তাল থাকায় মাঝপথ থেকে সেন্টমার্টিনগামী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ যাত্রীবাহী ট্রলার কক্সবাজারের টেকনাফে ফেরত এসেছে। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার খায়ুকখালী ঘাটে ট্রলারটি পৌঁছে। তবে পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর একই দিন সকালে দুটি খালি এবং একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ যাত্রীবাহী একটি ট্রলার দ্বীপে পৌঁছেছিল। এ ছাড়া আরও দুটি খালি ট্রলার দ্বীপে যেতে না পেরে টেকনাফে ফেরত আসে।
টেকনাফ-সের্ন্টমাটিন রুটের সার্ভিস বোটের সভাপতি রশিদ আহমদ বলেন, ‘সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ থেকে ছেড়ে যাওয়া সেন্টমার্টিনগামী যাত্রীবাহী একটি ট্রলারসহ দুটি খালি ট্রলার ফেরত এসেছে। তবে একই দিন সকালে পণ্যবাহী ট্রলারসহ আরও দুটি খালি ট্রলার দ্বীপে পৌঁছেছে।’
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তালের কারণে টেকনাফ থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী একটি ট্রলারসহ দুটি খালি ট্রলার ফেরত এসেছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে আগামীকাল (সোমবার) খুব সকালে পণ্যবাহী ট্রলারসহ যাত্রীরা রওনা করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একই দিন সকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি ট্রলারসহ দুটি খালি ট্রলার দ্বীপে পৌঁছেছে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, টেকনাফ পৌরসভাস্থল খায়ুকখালী ঘাটে সেন্টমার্টিনের মানুষের ভিড় দেখা গেছে। এতে পুরুষদের ট্রলারে অনুমতি মিললেও নারীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। এতে নারীরা অনেক বিপাকে পড়েছেন। ফলে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ সময় ঘাটে অপেক্ষমাণ সেন্টমার্টিনের মাজারপাড়ার বাসিন্দা শামসুন নাহার বলেন, ‘চিকিৎসা নিতে এসে নয় দিন ধরে টেকনাফে আটকা পড়েছি। আজকে ট্রলার চলাচল করলেও আমাদের (নারীদের) ট্রলারে যেতে অনুমতি দিচ্ছে না। আমার কাছে কোনও টাকা নেই, সন্তান নিয়ে খুব বিপদে আছি। দ্বীপে পরিবারের আরও সদস্য রয়েছে। তারাও অনেক সমস্যায় আছে খাবার নিয়ে। তা ছাড়া এখানে আমাদের কেউ সাহায্য করছে না।’
ঘাটে সেন্টমার্টিন দ্বীপের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমেদ বলেন, ‘চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজে আসা দ্বীপের প্রায় ৩’শ মানুষ টেকনাফে আটকা পরেছে। তারা খুব সমস্যায় আছে। আজকে ট্রলার চলাচল শুরু হলেও নারীরা যেতে পারছে না। তাছাড়া দ্বীপে বৈরী আবহাওয়ার কারনে যদি পর্যটকরা আটকা পরে,তাদের আমরা (দ্বীপবাসী) সাহায্য করে থাকি। কিন্তু দ্বীপের লোকজন এখানে (টেকনাফে) আটকা পরলে কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসে না।’
জানতে চাইলে সেন্টমার্টিন ইউপি (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘সাগর উত্তাল থাকায় মাঝপথ থেকে যাত্রীবাহি ট্রলার ফেরত এসেছে টেকনাফে। তার আগে সকালে দ্বীপে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যেসহ কিছু মানুষ দ্বীপে পৌছেছিল। তবে দ্বীপের অনেক মানুষ টেকনাফে আটকা পরেছে। সব মিলিয়ে দ্বীপের বাসিন্দারা খুব কষ্টে আছেন।’