জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার দুই ব্যক্তির বাড়ি থেকে ভিজিডির ৬০৩ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাচিহারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব চাল জব্দ করেন সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা।

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে আটক করা হয়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, অতিদরিদ্রদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ করা এসব চাল আজগর ও আনোয়ার নামের দুই ব্যক্তি অবৈধভাবে কিনে নিজেদের কাচিহারা গ্রামের বাড়িতে মজুত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁদের বাড়ি থেকে ৫০ কেজি ওজনের ৬০৩ বস্তা চাল উদ্ধার করেন। তবে ওই দুই ব্যক্তি পালিয়ে যান। পরে এসব চাল জব্দ করে গতকাল রাতে ইসলামপুর থানায় আনা হয়।

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আজগর ও আনোয়ার কালোবাজারি। তবে এসব চাল কেনার সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাদের কেউ কেউ জড়িত থাকতে পারেন। পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তিনি জানান, সরকারি চাল মজুত ও কালোবাজারির অভিযোগে গতকাল রাতেই ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এসব চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরে বালতি থেকে ককটেল ছুড়তে ছুড়তে সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ

একদল তরুণ ও যুবক বালতি হাতে দৌড়াচ্ছেন। কিছু একটা তুলছেন আর ছুড়ে মারছেন। বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হচ্ছে। ধোঁয়ায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে।

শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী ব্যাপারীকান্দি গ্রামে এভাবে ৬০-৭০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিবদমান দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।

এর আগে এ বছরের ৫ এপ্রিল ঠিক একইভাবে বিলাসপুর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

জাজিরা থানা সূত্র জানায়, জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নাসির উদ্দিন ব্যাপারী এবং একই এলাকার তাইজুল ইসলাম ছৈয়ালের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ আছে। দুজনই বিলাসপুরের চেরাগ আলী ব্যাপারীকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। নাসির উদ্দিন বিলাসপুরের চেয়ারম্যান কুদ্দুস ব্যাপারী এবং তাইজুল স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল জলিল মাতবরের সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, আজ ওই দুই পক্ষের লোকজন গ্রামের দুটি স্থানে অবস্থান নিয়ে একে অপরের ওপর ককটেল ছুড়ে মারেন। তাঁরা দুই পক্ষের সমর্থকদের বসতবাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন অন্তত ৬০-৭০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। ওই ঘটনায় দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

দুই পক্ষের সমর্থকদের বসতবাড়িতেও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুরে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শরীয়তপুরে বালতি থেকে ককটেল ছুড়তে ছুড়তে সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ