ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বড়লেখা প্লাবিত, পানিবন্দি লাখ মানুষ
Published: 1st, June 2025 GMT
ভারী বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। কোথাও হাঁটু আবার কোনো কোনো স্থান কোমর পর্যন্ত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তিনদিনের বৃষ্টিতে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, তিনদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে পাহাড়ি ঢল। জেলার বড়লেখা উপজেলার এক লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। ২০ হাজার বাড়ি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। উপজেলার বেশিরভাগ বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকান খোলেননি।
বড়লেখা সদর উপজেলার বাসিন্দা জালাল আহমদ বলেন, “কুলাউড়া-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের বড়লেখা উপজেলার উত্তর চৌমুহনী, পাখিয়ালা চৌমুহনী, বাছিরপুর, হাতলিয়া, দক্ষিণভাগ, রতুলী, কাঠালতলী, পানিধার, টিলাবাজার, দোহালিয়া, পূর্ব-দক্ষিণভাগ, কাঠালতলী উত্তরভাগ পূর্ব গাংকুল গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও, দক্ষিণ গাংকুল, পৌর শহরের হাটবন্দ, বারইগ্রাম, আদিত্যের মহাল, মুছেগুলসহ বিভিন্ন গ্রামের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। বসতবাড়িতে পানি ঢুকেছে। পৌরসভার বিভিন্ন কলোনিতে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।”
আরো পড়ুন:
জোয়ারে কমলনগরের ৬ ইউনিয়ন প্লাবিত, বন্ধ নৌযান চলাচল
এ বছরও কুমিল্লায় বন্যার শঙ্কা
ফয়ছল আহমদের নামে এক বাসিন্দা বলেন, “হাকালুকি হাওরের পানি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাওরপাড়ের তালিমপুর, বর্নি ও সুজানগর ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার বলেন, “উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। উপজেলার সব বিভাগের কর্মকর্তাদের সর্তক অবস্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা/আজিজ/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন য প ন বন দ উপজ ল র বড়ল খ
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যক্তিগত কর্মকর্তার স্ত্রীকে নগদে চাকরি দেওয়া নিয়ে যা বললেন ফয়েজ আহমদ
মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদে নিজের ব্যক্তিগত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। আজ শনিবার বিকেলের দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি অভিযোগ স্বীকারে করে পোস্ট দেন। এ ঘটনার সঙ্গে তাকে এবং তার মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামকে অন্যায়ভাবে জড়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী।
পোস্টে ফয়েজ আহমদ লেখেন, ‘আমি বাংলাদেশ রাষ্ট্র এবং এ দেশের মানুষের একটি পয়সাও চুরি করব না—এই আস্থাটা আমার ওপর রাখবেন আশা করি। আমি প্রচণ্ডরকম আর্থিক সততা নিয়ে বড় হয়েছি। আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট (স্বার্থের সংঘাত) এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এসেছে। কাজটা ঠিক হয়নি—এটা আমি বিনা বাক্যে স্বীকার করছি। তাঁকে প্রচণ্ডরকম বকাবকিও করেছি। উনার বউকে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি আমি তদন্তের ব্যবস্থা করেছি, নির্দেশনা দিয়েছি। নগদের অ্যাক্টিং সিইও এই বিষয়ে প্রেস রিলিজে বলবেন।’
মানবজমিনের প্রতিবেদনে ফয়েজ আহমদ এবং একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের প্রসঙ্গ আসা নিয়ে ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘তাঁদের অন্যায়ভাবে টেনে আনা হয়েছে। নগদের আগের সরকারের লোকজন অর্থ হাতিয়েছেন; কিন্তু দায় তাঁদের ওপর চাপানো হয়েছে।’ মিথ্যা সাংবাদিকতা হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী আরও লেখেন, ‘আমরা সংবাদকর্মীদের কাছে জেনেছি যে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পক্ষ এজেন্সিকে দিয়ে ১৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এর আগে তারা কিছু টিভি স্টেশনকেও অ্যাপ্রোচ করেছিল। দেশের শীর্ষ ফ্যাক্টচেকার এবং ডিজিটাল ভেরিফিকেশন এক্সপার্ট সেটা এক্সপোজও করেছেন। নগদে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশাসক বসানোর পরে বাংলাদেশ ব্যাংক কেপিএমজি-কে দিয়ে ফরেনসিক রিপোর্ট করাচ্ছে (অভিযোগ আছে কেপিএমজি প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট্যান্ট)।’
নগদকে বাঁচাতে কাজ করছেন উল্লেখ করে ফয়েজ আহমদ লেখেন, ‘শাফায়াত গং এখানে হেভিওয়েট ব্যারিস্টার নিয়ে এসে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে। এই দায়ও আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা হয়েছে। একটা অস্থিতিশীল সময়ে ডাকের লাইসেন্সে, রেগুলেটরের গাইডলাইনে, টপ এক্সপার্টদের ম্যানেজ সার্ভিসে আনা গেলে নগদ ভালো চলবে—এটাই ডিও লেটারে লিখেছি।’
গতকাল শুক্রবার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় নগদের ‘অনিয়ম’ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, ফয়েজ আহমদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আতিক মোর্শেদ নগদের কোনো কর্মকর্তা না হয়েও সেখানে অফিস করেন। পাশাপাশি নিজের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে একটি পদে চাকরিও দিয়েছেন। এ সংবাদের পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।