ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে নারীকে লাথি মারা সেই জামায়াত কর্মী গ্রেপ্তার
Published: 1st, June 2025 GMT
চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে নারী ও এক যুবককে লাথি দেওয়া জামায়াত কর্মী আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেলে তাকে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আকাশ চৌধুরী সাতকানিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নেচার উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর ছেলে। তিনি ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, ‘জামালখানে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
গত ২৮ মে বিকেলে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে কর্মসূচি দেয় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। কর্মসূচিতে অংশ নিতে ছাত্র জোটের নেতাকর্মীরা জড়ো হন। একপর্যায়ে সেখানে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্যের’ ব্যানারে একদল যুবক আসে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেন তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নগরের জামালখান চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির সামনে শুরুতে আকাশ চৌধুরী এক যুবককে লাথি মারেন। পরে এক নারীকে পেছন থেকে লাথি মেরে ফেলে দেন তিনি।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সহ-সভাপতি পুষ্পিতা নাথ বলেন, ‘যে নারীকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সহ-সভাপতি অ্যানি চৌধুরী। যিনি লাথি মেরেছেন তিনি ছাত্রশিবিরের কর্মী।’
এ ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরমধ্যে একজন জামিন পেয়েছেন। অন্যজন কারাগারে আছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক ছ ত র জ ট গ র প ত র কর র কর ম ত কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্রান্সে পিএসজির বিজয় উন্মাদনা রূপ নিল সহিংসতায়: নিহত ২, আহত ১৯২
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের বিজয় উদ্যাপনকালে ফ্রান্সে দুজন নিহত ও ১৯২ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পাঁচ শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ রোববার এসব তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে পিএসজি প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস ও আশেপাশের এলাকায় বিজয় উন্মাদনা শুরু হয়। ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলানকে হারানোর পর শুরু হওয়া এ উৎসব উদ্যাপন একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
গতকাল শনিবার রাতে পিএসজি প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস ও আশেপাশের এলাকায় বিজয় উন্মাদনা শুরু হয়। ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলানকে হারানোর পর শুরু হওয়া এ উৎসব উদ্যাপন একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নেয়।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, সকাল পর্যন্ত ৫৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে শুধু প্যারিসেই গ্রেপ্তার করা হয় ৪৯১ জনকে। এর মধ্যে ৩২০ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে; যাঁদের ২৫৪ জন প্যারিসের।
সংঘর্ষ চলাকালে চঁপ এলিজে সড়কে কিছু বাস স্টপেজ ভেঙে ফেলা ও দাঙ্গা পুলিশকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন বস্তু ছুড়ে মারা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও জলকামান ব্যবহার করে। এ সময় পিএসজির হাজার হাজার সমর্থক বিখ্যাত এ সড়কে ভিড় করেছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, সারা দেশে আগুন লাগানোর শত শত ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আছে দুই শতাধিক যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা। সহিংসতার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর ২২ সদস্য ও সাত দমকলকর্মী আহত হয়েছেন।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, সারা দেশে আগুন লাগানোর শত শত ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আছে দুই শতাধিক যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা। সহিংসতার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর ২২ সদস্য ও সাত দমকলকর্মী আহত হয়েছেন।