সাংবাদিকদের লেখার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান: অনিন্দ্য ইসলাম অমিত
Published: 1st, June 2025 GMT
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের লেখার এবং বলার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। এরপর ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিকাশও হয়েছে বিএনপির সময়ে। বিএনপি গণমাধ্যমবান্ধব একটি রাজনৈতিক দল। আমাদের দল বরাবরই জনগণের পক্ষে ছিল, গণতন্ত্রের পক্ষে ছিল।’
আজ রোববার দুপুরে ‘দেশপ্রেমিক সাংবাদিক সমাজের’ ব্যানারে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে যশোর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে টিকে থাকবার জন্য রাজপথে লড়াই করতে গিয়ে আমরা বারবার আক্রান্ত হয়েছি। তখন আমরা পাশে পেয়েছি গণমাধ্যমের বন্ধুদের। তাদের লেখনি আমাদের সাহস যুগিয়েছিল। তাই আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি, গণতন্ত্রের পক্ষের সকল রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে তারেক রহমানে নেতৃত্বে সেই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সমর্থ হব।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, যুবদলের জেলা আহ্বায়ক এম তমাল আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানাসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: যশ র ব এনপ জ য় উর রহম ন ব এনপ র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে
দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির অভিযোগের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে পুলিশ তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২০২৪ সালের ২৭ অগাস্ট শাহবাগ থানায় দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির অভিযোগের মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
গত ২৪ জুলাই সকালে ঢাকার ধানমন্ডির বাসা থেকে সাবেক এ প্রধান বিচারপতিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
সম্প্রতি তার গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সংগঠনটি দাবি করেছে, ‘বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর’ তিনি।
খায়রুল হক ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন এবং ২০১১ সালের ১৭ মে বয়স অনুযায়ী অবসর গ্রহণ করেন। বিচারপতি হিসেবে তার সবচেয়ে আলোচিত এবং বিতর্কিত রায় ছিল সংবিধানের ১৩তম সংশোধনী, অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে। ওই রায়ের পর দেশে আর কোনো নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়নি।
বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ২০১১ সালে এই রায় ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অসাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পরিপন্থি। এরপর থেকে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই সরকারে থেকে নির্বাচন পরিচালনা করছে। বিরোধী দলগুলোর দাবি, এই রায়ের মধ্য দিয়েই দেশে একতরফা নির্বাচন ও গণতন্ত্রহীনতার ভিত্তি তৈরি হয়।
২০১৩ সালের ২৩ জুলাই তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে তিনি আইন সংস্কার সংক্রান্ত নানা প্রস্তাব ও গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন সময় আইনি সেমিনার, বক্তৃতা এবং পরামর্শমূলক কাজে অংশ নিয়েছেন তিনি।
আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবী ও মহলগুলো তাকে ‘সংবিধান রক্ষার সাহসী রূপকার’ হিসেবে অভিহিত করলেও, বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর মতে তিনি ‘বিচার বিভাগের রাজনৈতিকীকরণের পথপ্রদর্শক’।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বলেছে, ‘তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করে তিনি দেশের নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন।’
ঢাকা/কেএন/ইভা