বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের লেখার এবং বলার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। এরপর ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিকাশও হয়েছে বিএনপির সময়ে। বিএনপি গণমাধ্যমবান্ধব একটি রাজনৈতিক দল। আমাদের দল বরাবরই জনগণের পক্ষে ছিল, গণতন্ত্রের পক্ষে ছিল।’

আজ রোববার দুপুরে ‘দেশপ্রেমিক সাংবাদিক সমাজের’ ব্যানারে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে যশোর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে টিকে থাকবার জন্য রাজপথে লড়াই করতে গিয়ে আমরা বারবার আক্রান্ত হয়েছি। তখন আমরা পাশে পেয়েছি গণমাধ্যমের বন্ধুদের। তাদের লেখনি আমাদের সাহস যুগিয়েছিল। তাই আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি, গণতন্ত্রের পক্ষের সকল রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে তারেক রহমানে নেতৃত্বে সেই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সমর্থ হব।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, যুবদলের জেলা আহ্বায়ক এম তমাল আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানাসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: যশ র ব এনপ জ য় উর রহম ন ব এনপ র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

ড. ইউনূসকে আস্থায় রেখে বিভেদ দূর করতে হবে

সমালোচনা থাকলেও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আস্থার জায়গা থেকে এত তাড়াতাড়ি সরিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। বিভেদের পথে না গিয়ে আস্থা রেখেই একসঙ্গে বসে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। শনিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও সংস্কার : আশু করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এ অভিমত দেন বিশিষ্টজন।

পলিসি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ সোসাইটি (পিএমআরএস) এই সেমিনার আয়োজন করে। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সংগঠনের চেয়ারম্যান ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জরুরি কাজ হলো নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলসহ স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা। গত ১০ মাসে এ বিষয়ে তেমন উন্নতি হয়নি। সরকারের উচিত দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়া।

নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ হলে অস্থিরতা অনেক কমে যাবে বলে মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ। তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূসকে সমালোচনার অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে তাঁকে আস্থার জায়গা থেকে এত তাড়াতাড়ি সরিয়ে দেওয়া ঠিক হচ্ছে কিনা, ভাবতে হবে। তাঁকে আস্থার জায়গায় রেখে বিভেদের পথে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সুন্দর সমাধানের পথে যাওয়ায় কি ভালো নয়? এ আলোচনার জন্য বিএনপি এগিয়ে এলে ড. ইউনূস কেন আসবেন না? সবাই বসে সমস্যা সমাধানের একটি রাস্তা বাতলানো দরকার।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘দেশ এখন ভয়াবহ সংকটে রয়েছে। সম্প্রতি দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী ধরা পড়েছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের হত্যা করে পারস্পরিক অবিশ্বাস সৃষ্টির মাধ্যমে গৃহযুদ্ধ বাধাতে চাচ্ছে। নিঃসন্দেহে গণতন্ত্র আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ দেশের সার্বভৌমত্ব।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিএনপি ধারণ করে। নির্বাচন কবে তা নিয়ে তর্ক করব না। তবে নির্বাচনের বাইরে অন্য কোনো বিষয় নেই, এটাই মূল কথা। এটিই উত্তরণের উপায়।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন বলেন, ‘সরকার গত ১০ মাসে দেশকে এমন অবস্থায় নিয়ে এসেছে, যেখানে নির্বাচন ও সংস্কারকে মুখোমুখি করা হয়েছে।’

পিএমআরএসের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তৃতা করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এম এ আজিজ, পিএমআরএসের ভাইস চেয়ারম্যান এ বি এম আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুশইনে পেখম খুলে যাচ্ছে ময়ূররূপী কাকের!
  • ‘ডিসেম্বরে অবশ্যই নির্বাচন দিতে হবে’ 
  • আমাদেরকে আবারও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে : টিটু
  • দলের মধ্যে কোন চাঁদাবাজের ঠাঁই নেই : পারভীন
  • গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন: গয়েশ্বর 
  • দুবাইয়ে জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী পালন
  • যারা চোরা পথে ক্ষমতায় যেতে চায় তারা নির্বাচন চায় না: মঈন খান
  • ড. ইউনূসকে আস্থায় রেখে বিভেদ দূর করতে হবে
  • গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সব শহীদের জন্য দোয়া চাইলেন তারেক রহমান