রুনা খানের ছোট চাহিদা বাড়ি-গাড়িসহ ৫ কোটি টাকা, বললেন জয়
Published: 1st, June 2025 GMT
এবার ঈদুল আজহায় ওটিটিতে তিনটি ভিন্ন কনটেন্ট নিয়ে হাজির হচ্ছেন অভিনেত্রী রুনা খান। দুটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত দুটি সিরিজ ও একটি সিনেমা। হইচইয়ে দেখা যাবে সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। অন্যদিকে আইস্ক্রিনে মুক্তি পাচ্ছে ‘পাপ কাহিনী’ নামের সিরিজ ও সিনেমা ‘নীলামন্থন’। বোঝাই যাচ্ছে ঈদটা বেশ রঙিন যাবে অভিনেত্রীর।
এদিকে রুনা খানকে নিয়ে আজ অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় তার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, রুনা খানের কিছু চাহিদার কথা। চাহিদার সেই তালিকাটি দেখে অনুমান করাই যায় রুনা ও জয় বেশ মজার আলাপে মেতেছিলেন। যার কিছু অংশ মজার ছলে প্রকাশ করেছেন জয়।
ফেসবুকে জয় লিখেছেন, ‘রুনা খান আমাকে গতকাল বলল জীবনে ওর বড় কোন চাহিদা নাই। আমি জিজ্ঞেস করলাম ছোট চাহিদা কি? উত্তরে বলে একটা বাড়ি। একটা গাড়ি। ব্যাংকে ৫ কোটি টাকা। আর বাকি জীবনে আর মাত্র দশটা দুর্দান্ত সিনেমা।’
এই পোস্ট দেখে বেশ হাস্যরসে মেতেছেন দুই তারকার ভক্ত ও নেটিজেনরা। অনেকে নানা মন্তব্যও করছেন।
এদিকে এরইমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে রুনা অভিনীত ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ সিরিজের ট্রেলার। সেখানে বিশেষভাবে নজর কেড়েছেন রুনা খান। মোশাররফ করিমের সঙ্গে তার একটি দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে রীতিমতো সয়লাব। ওই দৃশ্যে হতাশ রুনা খানকে বলতে শোনা যায়, ‘তুই কয়ডা বিয়া করছস?’ বেকায়দার পড়া মোশাররফ উত্তর দেন, ‘চাইরডা’। ফের রুনার প্রশ্ন, ‘তাইলে আমি কয় নাম্বার?’ মোশাররফের উত্তর, ‘ছয় নাম্বার’। এই সংলাপটি ভাইরাল হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়াটা জরুরি
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের প্রাণ-প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সেখানে পর্যটন সীমিত করা হয়েছে। ডিসেম্বর-জানুযারি—এ দুই মাসে প্রতিদিন নির্দিষ্টসংখ্যক পর্যটক দ্বীপটিতে যেতে পারেন। ঐতিহ্যগতভাবে মাছ ধরা ছাড়া অন্য কোনো পেশা এখানে নেই বললেই চলে। বালুমাটি ও লবণপানির কারণে কৃষির সুযোগও একেবারে সীমিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্যটন ঘিরেই মূলত দ্বীপটির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের চাকা সচল থেকেছে। ফলে পর্যটন সীমিত হওয়ায় এমনিতেই ৮ বর্গকিলোমিটারের দ্বীপটির প্রায় ১১ হাজার বাসিন্দার জীবিকা সংকটের মুখে পড়েছে।
পর্যটকেরা সেন্ট মার্টিনে যেতে না পারলেও দ্বীপটির বাসিন্দারা ট্রলারে করে টেকনাফে যেতে পারেন। চাল, ডাল, আলু, তেল, ডিম, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য টেকনাফ থেকেই দ্বীপটিতে যায়। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বিরূপ আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন পথে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে দ্বীপটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদার তুলনায় জোগান কমে গেলে অর্থনীতির চিরাচরিত সূত্র অনুযায়ীই দাম বাড়বে।
প্রথম আলোর খবর জানাচ্ছে, সেন্ট মার্টিনে একটি ডিম ১৮-২০ টাকায়, ১ কেজি আলু ৫০ টাকায় এবং সবজির কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জীবিকা ও আয়ের সুযোগ বড়ভাবে সংকুচিত হয়ে আসা একটা জনপদের বাসিন্দাদের পক্ষে এতটা বাড়তি ব্যয় করে খাদ্যপণ্য কেনা কতটা দুঃসাধ্য হতে পারে, সেটা সহজেই অনুমান করা যায়।
উপজেলা খাদ্যগুদামের কর্মকর্তার বরাতে আমরা জানতে পারছি, ১৫ দিন আগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের জন্য বরাদ্দ করা ভিজিডি, ভিজিএফসহ খাদ্যসহায়তার চাল এসেছে। ফলে চালের সংকট হবে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, শুধু ভাত খেয়ে তো মানুষ দিন পার করতে পারবে না। চালের সঙ্গে তাদের জন্য অন্যান্য খাদ্য উপকরণও লাগবে।
সেন্ট মার্টিনের বর্তমান সংকটকে শুধু বৈরী আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট সংকট হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। আবহাওয়া ভালো হলে দু–এক দিনের মধ্যে এবারের সংকট কেটে যাবে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এটা আমাদের দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনার বড় দুর্বলতারও প্রতিফলন। শুধু চালকে ত্রাণসহায়তা হিসেবে দেওয়ার যে রেওয়াজ, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। এ সময়ে নগদ সহায়তা ভুক্তভোগীদের অনেক উপকারে আসে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, সেন্ট মার্টিনের বাজারে পণ্য সরবরাহ যাতে স্বাভাবিক থাকে, তার বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। জরুরি পরিস্থিতিতে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর জাহাজ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতেই পারে।
পর্যটন সীমিত হওয়ায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যাপারেও সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। মনে রাখা দরকার, অভাব, দারিদ্র্য দীর্ঘ মেয়াদে অস্থিরতা ও অসন্তোষ তৈরি করতে পারে।