আন্তর্জাতিক কোচ হতে চান মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক, জানালেন বিসিবি সভাপতি
Published: 1st, June 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল দায়িত্ব নিয়েই সামনে তাকানোর পরিকল্পনা শুরু করেছেন। দেশের ক্রিকেটে টেকসই উন্নয়ন আনতে তিনি সাজিয়েছেন একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ। শুধু জাতীয় দলের পারফরম্যান্সই নয়, বরং গোটা ক্রিকেট কাঠামো ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
নিজের পরিকল্পনায় বুলবুল তুলে ধরেছেন ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’ ধারণা— শতভাগ ট্রাস্ট, শতভাগ প্রোগ্রাম এবং শতভাগ রিচ। এর মধ্য দিয়ে দেশের প্রতিটি প্রান্তে ক্রিকেট পৌঁছে দিতে চান তিনি।
এদিকে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর দিকেও নজর দিয়েছেন বুলবুল। তিনি চান, যারা কোচিং ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, তাদের জন্য আলাদা ট্রেনিং ও এডুকেশন প্রোগ্রাম চালু করতে।
আরো পড়ুন:
‘ট্রিপল সেঞ্চুরির’ লক্ষ্য নির্ধারণ
তৃণমূলে ছড়িয়ে পড়বে ক্রিকেট, আসছে আঞ্চলিক সংস্থাও
২ সপ্তাহর জন্য মাঠের বাইরে শরিফুল
বিষয়টি নিয়ে বুলবুল বলেন, “তবে এটা ঠিক, ভালো ক্রিকেটার হলেই সে ভালো কোচ বা প্রশাসক হবে— এমনটা নয়। সেই ব্যবস্থাগুলো আমরা করব। বিসিবিতে যোগ দেওয়ার আগেই মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা আন্তর্জাতিক কোচ হতে চায়। ইনশাআল্লাহ, আমরা এই ট্রেনিং-এডুকেশন প্রোগ্রামগুলো ক্রিকেট বোর্ডের মাধ্যমে চালু করব।”
সাবেক ক্রিকেটারদের বোর্ডে সম্পৃক্ত করার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “নান্নু ভাই বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান, আকরাম ভাই অন্যতম সেরা অধিনায়ক, লিপু ভাই, বাশার ভাই— সবাই কিংবদন্তি। তারা উইকেট, মাঠ আর ড্রেসিং রুমের চরিত্র বোঝেন। এমন সাবজেক্ট ম্যাটার এক্সপার্টদের আমাদের কাজে লাগাতে হবে।”
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কালীগঞ্জ কাঁপাচ্ছে বিশাল আকৃতির নিগ্রো!
গাজীপুরের কালীগঞ্জে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে একটি বিশাল আকৃতির ষাঁড়- নাম তার ‘নিগ্রো’।
উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের খৈকড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের জুয়েল আকন্দ (৩২) শখের বশে লালন-পালন করা এই বিরল দৃষ্টিনন্দন ষাঁড়টির ওজন প্রায় ১১৫০ কেজি।
জুয়েলের নিজ বাড়িতে ষাঁড়টি বিক্রির অপেক্ষায় থাকলেও এর চাহিদা ও কৌতূহল এখন ছড়িয়ে পড়েছে দূর-দূরান্তে।
আরো পড়ুন:
প্রস্তুত হাট, আসছে গরু-অপেক্ষা ক্রেতার
খুলনার জোড়াগেট হাটে হাসিল কমেছে ১ শতাংশ
জুয়েল আকন্দ জানান, প্রায় দেড় বছর আগে পাশের গ্রামের নাওয়ানের মোড় থেকে মাত্র দুই দাঁতের অবস্থায় কালো রঙের ষাঁড়টি কেনেন। এরপর থেকেই প্রাকৃতিক খাদ্য ও যত্নে তিনি গড়ে তুলেছেন ‘নিগ্রো’কে। কোনো স্টেরয়েড বা কৃত্রিম উপাদান ছাড়াই ঘাস, ভুসি, ছোলা, গাজর, কলাই, ও দানাদার খাবার খেয়ে বড় হয়েছে ষাঁড়টি। দিনে দুইবার গোসল আর পর্যাপ্ত চলাফেরার সুযোগে নিগ্রো এখন একেবারে স্বাস্থ্যবান এবং ঝলমলে চেহারার একটি ষাঁড়।
জুয়েল বলেন, “নিগ্রো নামটি আমি দেইনি, কালো জিভ আর কুচকুচে কালো গায়ের রঙ দেখে লোকজনই এ নাম দিয়েছিল। সেই নামেই পরিচিতি পেয়েছে।”
এখন প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছেন নিগ্রোকে একনজর দেখতে। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ করছেন ফেসবুক লাইভ। এমন উৎসাহ অনেকটাই মেলা মেলার পরিবেশ তৈরি করেছে জুয়েলের বাড়িতে।
মূল্য ধরা হয়েছে সাড়ে ৮ লাখ টাকা, তবে স্থানীয় পশু ব্যবসায়ীদের মতে নিগ্রোর প্রকৃত মূল্য আরও বেশি হতে পারে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অনেকে দাম বলছেন, কেউ আবার বুকিং দিতে চাইছেন কিন্তু এখনো কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় জুয়েল ষাঁড়টি ছাড়েননি।
“শখের বসে লালন করেছি, তাই হেলায় ছাড়তে চাই না। তবে কেউ সঠিক মূল্য দিলে নিগ্রোর রশি তার হাতেই তুলে দেব।”-বলেন জুয়েল।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এটি শুধু একটি ষাঁড় নয়, এটি খৈকড়া গ্রামের গর্ব। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে লালিত এই ষাঁড় যেন সম্ভাবনার এক উজ্জ্বল প্রতীক।
জুয়েলের প্রতিবেশিরা জানান, এটি পুরোপুরি প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্যগত দিক থেকে খুব ভালো অবস্থায় রয়েছে।
বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ ঘিরে প্রতিবছর যেমন লক্ষ লক্ষ পশু প্রস্তুত হয়, তেমনি বিরল আকৃতির পশুরাও হয়ে ওঠে আলোচনার বিষয়বস্তু। এবারের ঈদে কালীগঞ্জে নিগ্রো যেন সবার আগ্রহ ও ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু। এটি বিক্রি হবে কি না, হবে তো কত দামে-তা সময়ই বলবে। তবে নিঃসন্দেহে, কালীগঞ্জের ঈদ উদযাপন নিগ্রোকে ঘিরেই এবার এক নতুন রঙে রাঙা হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/এস