বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল দায়িত্ব নিয়েই সামনে তাকানোর পরিকল্পনা শুরু করেছেন। দেশের ক্রিকেটে টেকসই উন্নয়ন আনতে তিনি সাজিয়েছেন একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ। শুধু জাতীয় দলের পারফরম্যান্সই নয়, বরং গোটা ক্রিকেট কাঠামো ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

নিজের পরিকল্পনায় বুলবুল তুলে ধরেছেন ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’ ধারণা— শতভাগ ট্রাস্ট, শতভাগ প্রোগ্রাম এবং শতভাগ রিচ। এর মধ্য দিয়ে দেশের প্রতিটি প্রান্তে ক্রিকেট পৌঁছে দিতে চান তিনি।

এদিকে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর দিকেও নজর দিয়েছেন বুলবুল। তিনি চান, যারা কোচিং ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, তাদের জন্য আলাদা ট্রেনিং ও এডুকেশন প্রোগ্রাম চালু করতে।

আরো পড়ুন:

‘ট্রিপল সেঞ্চুরির’ লক্ষ্য নির্ধারণ
তৃণমূলে ছড়িয়ে পড়বে ক্রিকেট, আসছে আঞ্চলিক সংস্থাও

২ সপ্তাহর জন্য মাঠের বাইরে শরিফুল 

বিষয়টি নিয়ে বুলবুল বলেন, “তবে এটা ঠিক, ভালো ক্রিকেটার হলেই সে ভালো কোচ বা প্রশাসক হবে— এমনটা নয়। সেই ব্যবস্থাগুলো আমরা করব। বিসিবিতে যোগ দেওয়ার আগেই মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা আন্তর্জাতিক কোচ হতে চায়। ইনশাআল্লাহ, আমরা এই ট্রেনিং-এডুকেশন প্রোগ্রামগুলো ক্রিকেট বোর্ডের মাধ্যমে চালু করব।”

সাবেক ক্রিকেটারদের বোর্ডে সম্পৃক্ত করার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “নান্নু ভাই বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান, আকরাম ভাই অন্যতম সেরা অধিনায়ক, লিপু ভাই, বাশার ভাই— সবাই কিংবদন্তি। তারা উইকেট, মাঠ আর ড্রেসিং রুমের চরিত্র বোঝেন। এমন সাবজেক্ট ম্যাটার এক্সপার্টদের আমাদের কাজে লাগাতে হবে।”

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ