“যশোরের শার্শা থানার নাভারণ রেল বাজারের নির্মাণাধীন একটি ভবনে নিচ থেকে সাইকেল চুরির চেষ্টা করলে মো. জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে অন্তত ২০ জন সংঘবদ্ধ হয়ে বেআইনিভাবে আমাকে মারধর করে।”

রবিবার (১ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শার্শা থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে এ দাবি করে বিচার চেয়েছেন মো. রাকিবুল ইসলাম বিপ্লব।

বিপ্লব যশোরের বেনাপোল স্টেশন এলাকার মৃত হারুন শেখের ছেলে। তিনি একজন ভবঘুরে, চুরিই তার পেশা বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন:

জিএম কাদেরসহ ২৮০ জনের বিরুদ্ধে বরিশালে মামলা

দুদ‌কের মামলায় স্ত্রী-কন্যাসহ ফেঁসে যা‌চ্ছেন এসকে চৌধুরী

এর আগে, শনিবার (৩১ মে) বিকেলে শার্শা উপজেলার নাভারন বাজারে নির্মানাধীন একটি ভবন থেকে বাইসাইকেল চুরি করার সময় রাকিবুল ইসলাম বিপ্লবকে হাতেনাতে আটক করে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয়রা। একপর্যায়ে তাকে রশি দিয়ে বেঁধে একটি ভবনের লোহার সঙ্গে ঝুলিয়ে নির্যাতন করেন তারা।

ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। এতেই পুলিশ নড়েচড়ে বসে। পরে রবিবার (১ জুন) দুপুরে বিপ্লবকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়েছে পুলিশ। হাসপাতাল থেকে ফিরে দায়ের করা মামলায় নয়জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১২ জনকে আসামি করেন বিপ্লব।

আসামিরা হলেন, ঝিকরগাছা থানার দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রামের মাহাবুবুর রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, পরুন্দারপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে আক্তারুল ইসলাম, রঘুনাথপুর ডাঙ্গী গ্রামের সেলিম উদ্দিন দুদুর ছেলে শাওন হোসেন, বিল্লাল হোসেনের ছেলে মাহফুজুর রহমান পিয়াস, শহিদ মির্জার ফেলে শাহিন মির্জা, রফিকুল ইসলাম, কুন্দিরপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সাকিব, ঢাকা পাড়া গ্রামের মৃত জিন্নত আলীর ছেলে হাসান এবং শার্শা থানার উলশী গ্রামের নাজমুল গাজীর ছেলে সিয়াম হোসেন। 

এদিকে, মামলার আগেই পুলিশ জড়িত সন্দেহে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করে। পরে তাদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের সোপর্দ করে পুলিশ।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঢাকা/রিটন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার

প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা। 

কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।

মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ। 

এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা। 

কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে। 

কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। 

ঢাকা/ইমরান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ