বান্দরবানের ব্যাংক ডাকাতি মামলার আসামির মৃত্যু
Published: 1st, June 2025 GMT
বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি মামলার এক আসামি ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে আজ রোববার মারা গেছেন। তাঁর নাম লালসংময় বম (৫৫)। তিনি বান্দরবানের ফারুকপাড়া এলাকার বাসিন্দা। কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্য সন্দেহে তাঁকে গত বছরের এপ্রিল মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
লালসংময় চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী ছিলেন। দুই দিন আগে জামিনে মুক্তি পান তিনি। অসুস্থতা বেড়ে গেলে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে শনিবার রাতে বান্দরবানের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আজ বেলা আড়াইটায় তিনি মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন বম স্যোশাল কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক থাংজেল বম। তিনি বলেন, জামিন পাওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকে বাড়িতে আনার পর মৃত্যু হয়।
চমেক হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলী আসগর চৌধুরী বলেন, লালসংময় বম নামে একজন ক্যানসার রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অসুস্থ লালসংময় বমকে দুই দিন আগে আদালত জামিন দেন বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মো.
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে বান্দরবানের দুই ব্যাংকের তিন শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় লালসংময়কে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের এই ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন র হয় ছ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।
গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।