শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ১১ বাংলাদেশিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা করা হয়েছে। রোববার দুপুরে তাঁদের শেরপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪ নারী ও ৩ শিশু রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার পানিহাটা সীমান্তের ১১১৮/৯-এস পিলার থেকে প্রায় ৫০০ গজ ভিতরে বিজিবির রামচন্দ্রকুড়া ক্যাম্পের সদস্যরা অনুপ্রবেশকারীদের আটক করেন। এ সময় আটক হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে দুটি মুঠোফোন ও বাংলাদেশি সিমকার্ড ও ভারতীয় রুপি জব্দ করা হয়। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দিয়ে শনিবার বিকেলে তাঁদের নালিতাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশ জানায়, কাজের সন্ধানে কয়েক বছর আগে পাসপোর্ট ছাড়াই বাংলাদেশ থেকে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানে বসবাস করাটা নিরাপদ না জেনে কাজ শেষে পুনরায় অবৈধ পথে দেশে ফিরে আসছিলেন তাঁরা।

নালিতাবাড়ী থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে শনিবার মামলা করেছে বিজিবি। রবিবার দুপুরে আসামিদের শেরপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আটকরা হলেন- নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ী গ্রামের ছন্দার মোল্যার ছেলে আবুল কালাম, মৃত মিন্টু শেখের মেয়ে আলপনা খানম, চরদীগলিয়া গ্রামের এহিয়া শেখের ছেলে ইমরান শেখ, ইমরান শেখের স্ত্রী রোকেয়া বেগম, ছেলে লিমন শেখ ও মেয়ে সামিয়া (৫ মাস), কালিয়া উপজেলার ভোমবাগ দাউদ মোল্যার ছেলে রানা মোল্যা, রানার স্ত্রী নাসরিন বেগম, ছেলে ইরফান মোল্লা, খুলনার দীঘলিয়া উপজেলার চান্দনী মহল গ্রামের সাহাব উদ্দিনের মেয়ে মোছা.

লিচি, ফজর মোল্যার ছেলে রুবেল মোল্যা। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষের ‘দ্বিতীয় ঘুম’এর যুগ সম্পর্কে কতটা জানেন

তেলের বাতি, গ্যাসের বাতি এবং বৈদ্যুতিক বাতি ক্রমে সভ্যতায় যোগ হয়েছে। এর আগে মানুষ প্রাকৃতিক আলোর সঙ্গে মানিয়ে জীবন যাপন করতো। প্রাক-শিল্প যুগের সমাজে ‘দ্বিতীয় ঘুম’-এর অভ্যাস ছিলো মানুষের। 

দ্বিতীয় ঘুম বলতে ঐতিহাসিকভাবে প্রচলিত এমন এক ধরনের ঘুমের ধরণকে বোঝায়, যেখানে মানুষ রাতে একটানা আট ঘণ্টা না ঘুমিয়ে ঘুমকে দুটি ভাগে ভাগ করে নিত। একে দ্বি-পর্যায়ের ঘুম বা খণ্ডিত ঘুম বলা হয়। দেখা যেত যে— সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর মানুষজন বিছানায় যেত এবং প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত। 

আরো পড়ুন:

রক্তস্বল্পতা দূর করতে এই শাক খেতে পারেন

টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়

প্রথম ঘুমের পর তারা প্রায় এক ঘণ্টা জেগে থাকত। এই সময়ে বাড়ির হালকা কাজ করা, প্রার্থনা করা, পড়াশোনা করা, প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করা বা অন্তরঙ্গ কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার মতো কাজগুলো করতো।

তারা আবার বিছানায় ফিরে যেত এবং ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত আরও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত, যাকে ‘দ্বিতীয় ঘুম’ বা ‘ভোরের ঘুম’ বলা হত।

গত দুই শতাব্দী ধরে সামাজিক জীবনে আসা পরিবর্তনের কারণে মানুষের দ্বিতীয় ঘুমের অদৃশ্য হয়ে গেছে। যেসব কারণে মানুষ দ্বিতীয় ঘুমের অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছে, তার একটি হলো ‘কৃত্রিম আলো ব্যবহার।’
১৭০০ এবং ১৮০০ এর দশকে, প্রথমে তেলের বাতি, তারপর গ্যাসের আলো এবং অবশেষে বৈদ্যুতিক আলো রাতকে আরও ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। ফলে রাতও মানুষের কাছে জাগ্রত সময়ে পরিণত হতে শুরু করে। 

সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পরে ঘুমাতে যাওয়ার পরিবর্তে, মানুষ প্রদীপের আলোতে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেগে থাকতে শুরু করে। জৈবিকভাবে, রাতে উজ্জ্বল আলো আমাদের অভ্যন্তরীণ ঘড়িগুলোকে (আমাদের সার্কাডিয়ান ছন্দ) পরিবর্তন করে এবং কয়েক ঘণ্টা ঘুমের পরে আমাদের শরীরকে জাগ্রত করার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। 

ঘুমানোর আগে সাধারণ ‘ঘরের’ আলো মেলাটোনিনকে দমন করে এবং বিলম্বিত করে। শিল্প বিপ্লব কেবল মানুষের কাজ করার পদ্ধতিই নয় বরং তারা কীভাবে ঘুমায় তাও বদলে দিয়েছে। 

২০১৭ সালে বিদ্যুৎবিহীন মাদাগাস্কান কৃষি সম্প্রদায়ের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে লোকেরা এখনও বেশিরভাগ সময় দুই ভাগে ঘুমায়, প্রায় মধ্যরাতে ঘুম থেকে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস অবলম্বনে

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ