আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই জাদুঘর প্রতিষ্ঠার চেষ্টা আছে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা
Published: 1st, June 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মৃতি সংগ্রহ করতে রোববার চট্টগ্রামে যান সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি কয়েকজন শহীদের বাড়িতে যান এবং তাদের ব্যবহৃত পোশাকসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র সংগ্রহ করেন। কথা বলেন তাদের পরিবারের সঙ্গেও। এ সময় তিনি আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে ‘জুলাই জাদুঘর’ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা প্রথমে চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজারের শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্তর বাসায় যান। তাকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শান্তর মা ও পরিবারের সদস্যরা। তিনি ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেন এবং উপদেষ্টার হাতে শান্তর পোশাকসহ ব্যবহৃত জিনিসপত্র তুলে দেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণ তাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কাজটি করার জন্য একটি কমিটি ও অনেকগুলো সাবকমিটি হয়েছে। তারা দেশজুড়ে আগামী দেড় মাস স্মৃতি সংগ্রহের কাজ করবেন। আশা করছি ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করতে পারব।’
শান্তর মাকে সান্ত্বনা দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘শহীদদের পরিবারের সদস্যদের চোখের দিকে তাকালে তাদের কষ্ট কেউ সহ্য করতে পারবে না। তাদের এই কষ্ট কোনোভাবে মেটানো সম্ভব নয়। জুলাই জাদুঘর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিগত ১৬ বছর দুঃশাসনের ইতিহাস সংরক্ষিত থাকবে। জুলাই শুধু বীরত্বের নয়, একইসঙ্গে বেদনারও গল্প। সে গল্প একই রকম বেদনা নিয়ে যেন জাদুঘরের দর্শনার্থীর কাছে যায়। এটাই আমাদের অন্যতম কাজ। এ জন্য আমরা শহীদদের কিছু জিনিসপত্র সংগ্রহ করছি। কাজগুলো সময়সাপেক্ষ, তারপরও দ্রুত তা শেষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
অভ্যুত্থানে জড়িতদের বিচার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার বিচারের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আপনারা জানেন অভ্যুত্থানে হত্যাণ্ডের বিচার শুরু হয়েছে রোববার। আমরা ন্যায়বিচার চাই।'
শান্তর বাসা থেকে বের হয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে গিয়ে শহীদ শহিদুল ইসলাম ও মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট জ ল ই গণহত য জ ল ই জ দ ঘর পর ব র র উপদ ষ ট ব যবহ ত শ ন তর
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁনশিকারী সীমান্ত দিয়ে ৮ জনকে ঠেলে দিলো বিএসএফ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চাঁনশিকারী সীমান্ত দিয়ে নারীসহ আটজনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোরে তাদের আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি সদস্যরা। এসব তথ্য নিশ্চিত ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।
আটককৃতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাজাহানপুর ইউনিয়নের শেখালিপুরের মো. গোলাব আলীর ছেলে মো. ফায়েক হোসেন (২৮), খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার ডোমরা গ্রামের আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে মো. আজিম উদ্দীন (২৫), ঠাকুরগাঁও জেলার পরীগঞ্জ উপজেলার বেলহদী এলাকার শফির উদ্দিনের ছেলে রুস্তম আলী (৪৪), রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চকমুক্তাপুর এলাকার তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মো. মোফাজ্জেল হোসেন (৩৫), ওই জেলারই তানোর উপজেলার হরিদেবপুর এলাকার গোবরধন দাসের স্ত্রী দুঃখী দাস (৫৫);
খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার ডোমরা আজিম উদ্দিনের স্ত্রী মোছা. মিম খাতুন (১৯), নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনরানীপুর আতিকুর রহমানের ছেলে মোছা. রত্না আক্তার নুপুর (২২) ও বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার পিছি বারইখালী এলাকার ইব্রাহিমের স্ত্রী মোছা. নাদিরা খাতুন (৩৭)।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পুশইনের শিকার বাংলাদেশি নাগরিকরা ২০১৭-২৪ সালের বিভিন্ন সময়ে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের জন্য তাদেরকে ভারতীয় পুলিশ আটক করে। এই অবস্থায় তারা দীর্ঘদিন ভারতের মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিল। এরইমধ্যে মঙ্গলবার সকালে ভোলাহাটের চাঁনশিকারী সীমান্ত দিয়ে তাদের ঠেলে দেয় ভারতের বিএসএফ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, “মঙ্গলবার ভোরে আটজন নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। এদের মধ্যে চারজন নারী ও চারজন পুরুষ রয়েছে। আটককৃতদের বিজিবির চাঁনশিকারী বিওপিতে রাখা হয়েছ। তাদের ভোলাহাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।”
এ ঘটনায় বেলা সাড়ে ১১টায় বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা/শিয়াম/এস