শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট খেলতে পারবেন না তাসকিন আহমেদ। সম্পূর্ণ ফিট হয়ে ওয়ানডে বা টি২০ সিরিজ খেলতে পারবেন সেই নিশ্চয়তাও দিতে পারছে না বিসিবির মেডিকেল বিভাগ। তাসকিনের না থাকার সঙ্গে পেস বিভাগে নতুন করে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে শরিফুল ইসলামের চোট। 

বিসিবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পেশির চোট পাওয়া শরিফুলকে অন্তত দুই সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে। আইপিএল থেকে বাঁহাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির হাড়ের চিড় নিয়ে দেশে ফেরা মুস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে তিন সপ্তাহ। এভাবে একের পর এক পেসারের চোটে পড়া জাতীয় দলের বোলিংয়ের শক্তি হ্রাস করেছে। এই তিন পেসার পুরো ফিট না হলে শ্রীলঙ্কা সফরে বোলিং নিয়ে ভুগতে হতে পারে বাংলাদেশকে।

এক বছর আগেও পেস বোলিং ইউনিটকে বড় মনে করা হচ্ছিল। তাসকিনের গোড়ালির হাড় বৃদ্ধিতে সেখানে বড় ধাক্কা লাগে। মূল বোলার চোটে থাকায় কোটা পূরণ করতে হচ্ছে বিকল্প তালিকা থেকে। অভিজ্ঞ এ পেসার না থাকায় তিন সংস্করণে খেলছেন তানজিম হাসান সাকিব। ফলে সাদা ও লাল বলের গেমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে গিয়ে খাবি খেতে হচ্ছে তাঁকে। ডানহাতি এ পেসার আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টি২০ সিরিজে ভালো করতে পারেননি। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামকেও এ দুই সিরিজে পুরোনো ছন্দে দেখা যায়নি। চোটপ্রবণ এ পেসার চোটেও পড়েন পাকিস্তানে। সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলা হয়নি তাঁর। 

বিসিবির প্রধান ফিজিশিয়ান দেবাশীষ চৌধুরীর কাছে তিন পেসারের চোট সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘তাসকিনের ব্যাপারটা বলা কঠিন। তার সময় লাগবে। মাত্র ৭০ ভাগ ফিট হয়েছে। টেস্টে তো খেলতে পারবেই না, ওয়ানডে বা টি২০ খেলতে পারবে কিনা, তা পরে বলতে পারব। শরিফুলের বিষয়টি আমি পরিষ্কার না। গ্রোইনে ব্যথা থাকলেও এমআরআই রিপোর্টে তেমন কিছু নেই। দেশে ফিরলে পর্যবেক্ষণ করে বলতে পারব গভীর চোট না হালকা। আশা করা যায়, শ্রীলঙ্কা সিরিজে দল নির্বাচনে মেডিকেলি ফিট থাকবে। মুস্তাফিজের হাড়ে চিড় এক সপ্তাহ হয়ে গেছে। আর দুই সপ্তাহ পর খেলায় ফিরতে পারবে। শ্রীলঙ্কা সফরের এখনও দেরি আছে। তার আগেই ফিট হয়ে যাবে।’

এবার টেস্ট দিয়ে শ্রীলঙ্কা সফর শুরু। মুস্তাফিজ খেলেন সাদা বলের ক্রিকেট। সে ক্ষেত্রে পুরো ফিট হয়ে খেলায় ফিরতে পারবেন বাঁহাতি এ পেসার। তিন পেসারের চোট থাকায় পাকিস্তানে হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসানের সঙ্গে খালেদ আহমেদকে খেলতে হচ্ছে। হাঁটুর চোট থেকে ফেরা এবাদত হোসেনকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে অপেক্ষা করতে হবে। শ্রীলঙ্কা সফরে হাসান, খালেদ, সাকিবের সঙ্গে নাহিদ রানা থাকবেন। বিকল্প প্রয়োজন হলে নেওয়া হবে শরিফুল ইসলামকে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ট হয়

এছাড়াও পড়ুন:

মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার

প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা। 

কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।

মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ। 

এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা। 

কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে। 

কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। 

ঢাকা/ইমরান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ