ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের খুব শিগগিরই বাণিজ্যচুক্তি হতে পারে। এ মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে পাকিস্তানের একজন প্রতিনিধি আগামী সপ্তাহে আলোচনা করতে ওয়াশিংটন সফরে আসছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। খবর ইকোনমিক টাইমসের।

শুক্রবার বিমানঘাঁটি জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রতিনিধি আসছেন আগামী সপ্তাহে। ভারতের সঙ্গেও আমাদের চুক্তি এই হলো বলে। তবে সতর্ক করে তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যদি আবারও সংঘাত হয়, তাহলে এই আলোচনা বিঘ্নিত হতে পারে। তাঁর ভাষায়, ‘যদি তারা যুদ্ধে লিপ্ত হয়, তাহলে কারও সঙ্গেই আমার চুক্তির আগ্রহ থাকবে না।’

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত তার সরকারি ক্রয়বাজার মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য উন্মুক্ত করবে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো ভারতীয় কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর ৫০ বিলিয়ন বা ৫ হাজার কোটি ডলারের বেশি মূল্যের সরকারি ঠিকাদারিতে অংশ নিতে পারবে। এটি ওয়াশিংটনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনারই অংশ। 

এর আগেও ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনা পারমাণবিক বিপর্যয় রোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, আমরা যখন বাণিজ্য নিয়ে কথা বলি, তখন বলি, যারা একে অপরকে গুলি করছে ও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে, তাদের সঙ্গে তো আর বাণিজ্য করা যায় না। তারা এটা বুঝেছে এবং রাজি হয়েছে। তাই সব থেমে গেছে।

এদিকে ট্রাম্প যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যে শুল্ক আরোপ করেছেন, তার প্রভাব পাকিস্তানি পণ্যের রপ্তানিতেও পড়তে পারে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্তের কারণে। পাকিস্তানি পণ্যে ২৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প।

এই প্রেক্ষাপটে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনার লক্ষ্যে সম্প্রতি আবারও ওয়াশিংটন সফর করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। উভয় দেশ জুলাইয়ের শুরুতেই অন্তর্বর্তী চুক্তি সই করতে চায়। ২ এপ্রিল ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে ভারতীয় পণ্যে ২৬ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের হুমকি মোকাবিলায় যোগাযোগ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের সামনে ভারতের কর্মকাণ্ডের ফলে উদ্ভূত ‘আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি’ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয় পাকিস্তানের একটি শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এই ব্রিফিং হয়। 

প্রতিনিধি দলটি নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে যাতে ‘ভারতীয় অপপ্রচার উন্মোচিত’ করা যায় এবং পাকিস্তানের অবস্থান তুলে ধরা যায়। ডেনমার্ক, গ্রিস, পানামা, সোমালিয়া, আলজেরিয়া, গায়ানা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিয়েরা লিওন এবং স্লোভেনিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে তারা সাক্ষাৎ করেন।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেন, ভারতের শহরাঞ্চল লক্ষ্য করে হামলা এবং সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করা আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি। গবেষণা বা প্রমাণ ছাড়া পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনায় পাকিস্তান একটি মেপে চলা, দায়িত্বশীল ও জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। 

চীন ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রবাহ কমিয়ে দিলে ভারতের লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই। এমন দাবি করেছেন ভারতের আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এনডিটিভি জানায়, পাকিস্তানের বক্তব্যের জবাবে তিনি আরও বলেন, এতে বার্ষিক বন্যার হাত থেকে আসাম মুক্তি পাবে। জনজীবন ব্যাহত হবে না। সম্পত্তির ক্ষতি হবে না। কেন ক্ষতি হবে না, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিজেপিদলীয় মুখ্যমন্ত্রী। 

জিও টিভি জানায়, বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলন কিংবা ইসলামাবাদের ভাষায় বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতায় ভারত মদদ দিচ্ছে– এমন অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী। বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভারতের ‘ক্রীতদাস’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ