নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর পুলিশ সদস্য মো. সাইফুল ইসলামের (৩০) মরদেহ পাওয়া গেছে। 

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৫টার দিকে তার মরদেহ ভেসে ওঠে চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজার-সংলগ্ন করিমবাজার ঘাটের দক্ষিণের চরে। 

সাইফুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী গ্রামের মো.

সিরাজুল ইসলাম ও রহিমা বেগম দম্পতির একমাত্র ছেলে। তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। তিন বছর ধরে নোয়াখালীর বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিলেন সাইফুল।

স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ বলেছেন, চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজারের দক্ষিণে চরের পাশে মেঘনা নদীর কিনারে ভাসমান অবস্থায় পুলিশের ইউনিফর্ম দেখতে পেয়ে ছবি তুলে পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ সদস্যরা এসে তার পরিচয় নিশ্চিত করেন। গত

শনিবার (৩১ মে) দুপুর ৩টার দিকে ভাসানচর থেকে হাতিয়ার করিমবাজার ঘাটে যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবোচরে পৌঁছালে হঠাৎ ফেটে গিয়ে উল্টে যায়। ওই ট্রলারে ৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে মাঝি ও যাত্রীসহ ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এছাড়া, ঘটনাস্থল থেকে গিয়াস উদ্দিন এবং রামগতি থেকে রোহিঙ্গা নারী হাসিনা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো একটি রোহিঙ্গা শিশু নিখোঁজ রয়েছে। 

ট্রলার ডুবে গেলে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে সাইফুল ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেছেন, দুপুরে সাগরে একটি মরদেহ ভেসে উঠেছে বলে খবর পাই। বিষয়টি কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীকে অবহিত করা হয়। বিকেলে মরদেহটি ঢেউয়ের সাথে সাথে তীরের কাছে আসে। পরে এটি সাইফুলের মরদেহ হিসেবে শনাক্ত করা হয়। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

ঢাকা/সুজন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিটের ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতি, মামলার অনুমোদন

প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণের ৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মো. রিয়াজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুদকের ডেপুটি ডিরেক্টর আকতারুল ইসলাম (জনসংযোগ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) অধীন রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ মৌজায় ডিপো এক্সেস করিডোর নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। জালিয়াতির মাধ্যমে মো. রিয়াজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তার ভূমি অধিগ্রহণের নামে সরকারি কোষাগার থেকে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৮ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ফেনীতে ছাত্র হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নূরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, ১২ বছর পর তোলা হলো আবু বকরের দেহাবশেষ

দুদক জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি রিয়াজ সংশ্লিষ্ট জমির মূল দলিল হারিয়ে গেছে মর্মে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় পাঁচটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে তিনি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ওই দলিলগুলোর সার্টিফায়েড কপি উত্তোলন করে ভূমি অধিগ্রহণ অফিসে জমা দেন এবং ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করেন।

শুধু তাই নয়, ওই রিয়াজের বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতারণার প্রমাণও পেয়েছে দুদক। সে তার জমি ইতোপূর্বে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (সোনালী ব্যাংক) কাছে বন্ধক রাখে এবং বন্ধকী দলিল এখনো কার্যকর রয়েছে।

প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করায় মো. রিয়াজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় মামলার অনুমোদন করা হয় বলে দুদক জানায়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ