মেঘনায় ট্রলারডুবির দুই দিন পরে পুলিশ সদস্যের লাশ মিলল চরে
Published: 2nd, June 2025 GMT
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর পুলিশ সদস্য মো. সাইফুল ইসলামের (৩০) মরদেহ পাওয়া গেছে।
সোমবার (২ জুন) বিকেল ৫টার দিকে তার মরদেহ ভেসে ওঠে চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজার-সংলগ্ন করিমবাজার ঘাটের দক্ষিণের চরে।
সাইফুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী গ্রামের মো.
স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ বলেছেন, চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজারের দক্ষিণে চরের পাশে মেঘনা নদীর কিনারে ভাসমান অবস্থায় পুলিশের ইউনিফর্ম দেখতে পেয়ে ছবি তুলে পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ সদস্যরা এসে তার পরিচয় নিশ্চিত করেন। গত
শনিবার (৩১ মে) দুপুর ৩টার দিকে ভাসানচর থেকে হাতিয়ার করিমবাজার ঘাটে যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবোচরে পৌঁছালে হঠাৎ ফেটে গিয়ে উল্টে যায়। ওই ট্রলারে ৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে মাঝি ও যাত্রীসহ ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এছাড়া, ঘটনাস্থল থেকে গিয়াস উদ্দিন এবং রামগতি থেকে রোহিঙ্গা নারী হাসিনা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো একটি রোহিঙ্গা শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
ট্রলার ডুবে গেলে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে সাইফুল ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেছেন, দুপুরে সাগরে একটি মরদেহ ভেসে উঠেছে বলে খবর পাই। বিষয়টি কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীকে অবহিত করা হয়। বিকেলে মরদেহটি ঢেউয়ের সাথে সাথে তীরের কাছে আসে। পরে এটি সাইফুলের মরদেহ হিসেবে শনাক্ত করা হয়। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
ঢাকা/সুজন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘দ্বিতীয় স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে লিভ-ইন করছি’
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঞ্জু অরবিন্দ। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে বড় পর্দায় পা রাখেন। মালায়ালাম সিনেমার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী পর্দা শেয়ার করেছেন রজনীকান্ত, মোহনলালের মতো বরেণ্য অভিনেতার সঙ্গে।
অভিনয়ে খ্যাতি কুড়ানোর পাশাপাশি নৃত্যশিল্পী হিসেবেও সুনাম রয়েছে অঞ্জুর। কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবন ঝলমলে নয়। একাধিক বিয়ে করেও সংসারী হতে পারেননি। এখন লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছেন এই অভিনেত্রী। তামিল একটি ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জীবনের স্পর্শকাতর অংশ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন অঞ্জু।
সংসারী হওয়ার জন্য বিয়ে করেছিলেন অঞ্জু অরবিন্দ। কিন্তু দুঃখ তার পিছু ছাড়েনি। এ বিষয়ে ৪৬ বছরের অঞ্জু বলেন, “আমার প্রথম বিয়ে ডিভোর্সের মাধ্যমে শেষ হয়। দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু আমার স্বামী মারা যান।”
আরো পড়ুন:
‘স্যার আপনার সঙ্গে সময় কাটাতে চান’
মুক্তির আগেই বিজয়ের শেষ সিনেমার আয় ২৫১ কোটি টাকা!
এখন লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছেন অঞ্জু অরবিন্দ। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি পাঁচ বছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছি। আমার সঙ্গীর নাম সঞ্জয় আম্বালা পরমবাথ। গত পাঁচ বছর ধরে আমরা সুখে-শান্তিতে বসবাস করছি।”
ক্লাশ এইটে পড়াকালীন নাচ শিখতেন অঞ্জু। নাচের ক্লাসে পরিচয় হয় সঞ্জয়ের সঙ্গে। তার ভাষায়— “সঞ্জয় আমার প্রথম ক্রাশ।” এরপর আর যোগাযোগ ছিল না তাদের। সময় আবার সঞ্জয়-অঞ্জুকে এক করেছে।
বেঙ্গালুরুতে ‘অঞ্জু অরবিন্দ ড্যান্স একাডেমি’ নামে একটি নাচের স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন সঞ্জয়। তার একটি কন্যাসন্তান রয়েছে, যে কলেজে পড়াশোনা করছে। অঞ্জুর মতে— “আমাদের প্রেম কাহিনি নিয়ে একটি সিনেমা নির্মাণ সম্ভব।”
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ঢাকা/শান্ত