আকিজ গ্রুপ (বাংলাদেশ) এবং প্যান চায়না গ্রুপের (চীন) মধ্যে মেগা ব্যবসায়িক প্রকল্প চালুর জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সোমবার ঢাকার বারিধারার একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা স্মারক সই করা হয়।

অনুষ্ঠানে আকিজ গ্রুপের পরিচালক শেখ আমিন উদ্দিন এবং প্যান চায়না গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার ডেভিড লিউ জিয়ান ওয়েই সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) স্বাক্ষর করেন।

এতে এফবিসিসিআই, বিডা, সিভিল এভিয়েশনের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ও চীনের ব্যবসায়ী নেতা, বিসিসিআই এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক সংস্থা, বাংলাদেশ গ্রেগট ওয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিএলবি লিগ্যাল অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং, ওভারসিজ চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পিসফুল রিইউনিফিকেশন প্রমোশন অ্যাসোসিয়েশন, চায়না রেলওয়ে ২৪তম ব্যুরো গ্রুপ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, চায়না কনস্ট্রাকশন সিক্সথ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো কর্পোরেশন লিমিটেড এবং আকিজ গ্রুপ এবং প্যান চায়নার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এতে বলা হয়, আকিজ-প্যান চায়না গ্রুপ বাংলাদেশে উদ্ভাবনী এবং মেগা প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে, সরকারি এবং বেসরকারি উভয় খাতের সাথে কাজ করে। তাদের যৌথ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো প্রকল্পের প্রোফাইল তৈরি করে এবং এই ধারণাগুলোকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার জন্য উপযুক্ত তহবিল উৎস নিশ্চিত করে দূরদর্শী ধারণাগুলিকে সমর্থন করা।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, আকিজ-প্যান চায়না গ্রুপ উদ্যোক্তা, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি সংস্থাগুলোর সহযোগিতাকে স্বাগত জানায় যারা বৃহৎ আকারের বা প্রভাবশালী প্রকল্প, অথবা আইকনিক কাঠামো বাস্তবায়ন করতে চান। এই জোট ধারণা থেকে বাস্তবায়ন পর্যন্ত পূর্ণ সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রকল প স ম রক সরক র সমঝ ত

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ