ঈদ আনন্দ
বিল্লাল মাহমুদ মানিক
ঈদ মানে–
আনন্দ, হাসি রাশিরাশি,
উৎসব বড় ভালোবাসি।
উল্লাস-উচ্ছ্বাস কত,
বাধাহীন জীবনের ব্রত।
ঈদ মানে–
মানবতা, সাম্য, প্রীতি,
শান্তির ধ্রুবতারা-গীতি।
সুন্দর জামা-জুতো যত,
নতুনের আবাহন শত।
ঈদ মানে–
ভোরবেলা ঈদগাহে যাওয়া,
সালামির টাকাকড়ি পাওয়া।
সুস্বাদু খাবারের মেলা,
দিনভর প্রাণখুলে খেলা।
সুখের স্বপ্ন
আসাদুজ্জামান আসাদ
গ্রীষ্মের তাপদাহ
নিজেকে পুড়ি অন্ত দহনে
দেয়ালে দেয়ালে তৈল চিত্র
পুষ্পকাননে ফুটন্ত কুঁড়ি,
ঘুরে-ফিরে রঙিন প্রজাপতি
খোলা নীলাকাশ, উড়ছে অত্যাচারী শুকুন
অভিশপ্ত চোখ, ঝরছে লেলিহান শিখা
রবির সোনালি রোদ, বিকশিত নশ্বর
তবু আমি, নির্জনে খুঁজি
সুখের স্বপ্নমাখা সোনালি পৃথিবী।
প্রত্যাশা
মাসুম মোরশেদ
ভুলে যাক ভেদাভেদ
যাক কেটে দুখ
ঈদের খুশি বান ডেকেছে
ঘরে ঘরে সুখ।
কে ধনী কে গরিব
হাতে রেখে হাত
এই খুশিতে একাত্ম হই
রুখে দিই আঘাত।
সম্প্রীতির ঈদ সবার মাঝে
রাখুক অবদান
নতুন করে দেশটা গড়ি
বাড়াই দেশের মান।
জীবনের হিসাব
নকুল শর্ম্মা
বাউণ্ডুলে হৃদয় ভালোবাসার উষ্ণতা খোঁজে
বিধ্বস্ত সময়ের টিপ্পনির অসহ্য যন্ত্রণা,
অবহেলার পাহাড়ি কাঁটার আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত শরীর।
বিষণ্নতার সমুদ্রে মৃত লাশ–
মাংসভোজীর রাক্ষুসে চোখের লোভাতুর দৃষ্টি,
জীবনের হিসাবে কঠিন অঙ্কের ধারাপাত।
অন্য রকম একটা জীবনের সূচনা হোক–
বন্ধনের শিকলে জোছনামাখা মিষ্টি আলোর আঙিনা,
ইচ্ছের পাখায় চন্দ্র টিপে অধর কাঁপানো ভালোবাসা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স হ দ সম ব শ জ বন র
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় মাদ্রাসাশিক্ষকের আমৃত্যু কারাদণ্ড
চট্টগ্রাম নগরে ছয় শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় এক মাদ্রাসাশিক্ষককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁর নাম নাজিমুদ্দীন (৪১)। আজ বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৭ চট্টগ্রামের বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দেন।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি শফিউল মোরশেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আদালত আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি হাজির ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নাজিমুদ্দীন ফটিকছড়ির নাজিরহাটের গোলমুর রহমানের ছেলে।
আদালত সূত্র জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসার ছয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন শিক্ষক নাজিমুদ্দীন। ধর্ষণের বিষয়টি না জানাতে শিক্ষার্থীদের ভয় দেখানো হয়। বিষয়টি বলে দেবে জানালে এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবারের লোকজন এসে বিষয়টি জানতে পারেন। পরে অন্য শিক্ষার্থীরাও মুখ খোলে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর বড় ভাই বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৪ মার্চ নগরের পাঁচলাইশ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে এই মামলায় পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দেন।