রংপুরে ছিনতাইয়ের কবলে ইরানী দম্পতি, আটক ৪
Published: 3rd, June 2025 GMT
রংপুরে গুগল ম্যাপ ধরে ঘুরতে গিয়ে ভুল রাস্তায় ঢুকে ছিনতাই ও মারধরের শিকার হয়েছেন এক ইরানি দম্পতি।
সোমবার (২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘনিরামপুর রামপুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিনতাই হওয়া পাসপোর্ট, ডলার ও ঘড়িসহ ইরানি দম্পতিকে উদ্ধার করেন। পরে তাদের মূল্যবান জিনিসপত্রসহ নিরাপদে হোটেলে পৌঁছে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।
সেসময় ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা ও তারাগঞ্জ থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে রংপুরের তারাগঞ্জের ক্যাম্প-কমান্ডার মেজর সানিয়াত চৌধুরী সৃজন জানান, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্ষা ইউনিয়নের দক্ষিণ গনিরামপুরে অরজকতার খবর শুনে সেনাবাহিনীর পেট্রোল দল ছুটে যান সেখানে। এলাকার লোকজন বিশৃঙ্খলা শুরু করায় তাৎক্ষণিক এলাকাটিতে থেকে দুই ইরান নাগরিক দম্পতি হোসেইন সেলিম রেজা এবং ইয়াজদানজো ইয়াসমিনকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান তারা।
এ বিষয়ে ওই দুই ইরানি দম্পতি সেনাবাহিনীকে জানান, তারা গতকাল ঢাকা থেকে রংপুরে ঘুরতে গেছেন। ভাড়া গাড়িতে গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে নিজেই ড্রাইভ করছিলেন রেজা। বিদেশি হওয়ায় ঠিকমতো চিনতে না পারায় ভুল রাস্তায় ঢুকে পড়েন। এরপর তারা এলাকাবাসীর কাছে সাহায্য চান। এলাকাবাসী সাহায্য না করে উল্টো মারধর করে তাদের কাছে থাকা ডলার, মোবাইল, একটি ঘড়ি ও পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ইরানি দম্পতি হোসেইন সেলিম রেজা (৬৪) ও ইয়াজদানজো ইয়াসমিন (৫৭) বাংলাদেশে বেড়াতে এসে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করে নিজেরাই গাড়ি চালিয়ে রংপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন। গুগল ম্যাপ অনুসরণ করে যাওয়ার সময় ভুলবশত তারা রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘনিরামপুর রামপুরা গ্রামে ঢুকে পড়েন।
সেখানে তারা স্থানীয়দের কাছে সাহায্য চাইলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা চালিয়ে ডলার, মোবাইল ফোন, হাতঘড়ি ও পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেয় এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
খবরটি তারাগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে পৌঁছালে ক্যাম্প কমান্ডার মেজর সানিয়াত চৌধুরী সৃজনের নেতৃত্বে একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ইরানি দম্পতিকে উদ্ধার করে।
এসময় ঘটনাস্থল অভিযুক্ত রশিদুল ইসলাম (৪২), মেরাজুল ইসলাম (৩৮), মনোয়ারা বেগম (৩৫) ও রাবেয়া বেগমকে (৪৫) আটকের পর ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়। পরে সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ইরানি দম্পতিকে রংপুর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে এবং সেখান থেকে নিরাপদে হোটেলে পৌঁছে দেওয়া হয়।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক চারজনকে সেনাবাহিনী পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”
ঢাকা/আমিরুল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ নত ই উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় মাদকসহ একাধিক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে মাদক কারবারিদের হামলায় দুই পুলিশসহ তিনজনের আহতের ঘটনায় দুই নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ী এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। পরে রাতেই নালিতাবাড়ী থানায় পুলিশ মামলা করে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। বাকি দুইজনকে আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দুপুরে শেরপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে
ফরিদপুরে পাগলা ঘোড়ার কামড়ে আহত ২০
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, আসামি ধরতে গিয়ে দুই পুলিশসহ তিনজন আহত হয়েছেন। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এরমধ্যে দুই নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
নালিতাবাড়ী থানার পুলিশ জানায়, উপজেলার বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ী এলাকার মাজম আলীর (৪০) বিরুদ্ধে ইয়াবাসহ একাধিক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করতে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের তিন সদস্যের দল অভিযান চালায়। তখন মাজম আলীসহ অন্য তিন মাদক কারবারি প্রতিবেশী মফিজুলের পতিত বাড়ির রান্নাঘরে বসে ইয়াবা লেনদেন করছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাজম আলীসহ অন্যদের ধরতে চাইলে নারী-পুরুষসহ স্বজনেরা পুলিশের উপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়।
আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। আহতরা হলেন, নালিতাবাড়ী থানার এএসআই ওমর ফারুক, কনস্টেবল নাজমুল ও স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন।
ঢাকা/তারিকুল/বকুল