সোনারগাঁয়ে সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু
Published: 3rd, June 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে গরুর খাবারের জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে সাপের কামড়ে মো. কবির (৪২) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
পরে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক রাত ১০টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত কবির সোনারগাঁ উপজেলার মোগড়াপারা ইউনিয়নের মুক্তিশপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের ভাই আবুল কালাম বলেন, আমার ভাই কৃষিকাজ করত। গরুর খাবারের জন্য বাড়ির পাশেই ঘাস কাটার সময় ডান পায়ে সাপের কামড়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে প্রথমে তাকে স্থানীয় সোনারগাঁ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাই।
পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান আমার ভাই আর বেঁচে নেই।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তিন বোমার খবরে ভুতুড়ে নগর হয়ে গেল কোলন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার বোমা নিয়ে জার্মানির কোলন শহরে আতঙ্কের কারণে ২০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শহরটির প্রায় অর্ধেক অংশ গতকাল বুধবার হঠাৎই স্থবির ও জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে। অবশ্য আড়াই টন ওজনের তিনটি বোমা নিষ্ক্রিয় করার পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লোকজন ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।
গতকাল বুধবার সকালে কোলন শহরের ডয়ট্জ এলাকায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের তিনটি অবিস্ফোরিত বোমা পড়ে থাকার সংবাদ পাওয়া যায়। এসব বোমা নিষ্ক্রিয় করতে প্রায় ২০ হাজার মানুষকে তাৎক্ষণিক নিজ নিজ বাসা ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যেতে বলা হয়।
পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা অবিরাম মাইকে এই ঘোষণা দিতে থাকলে শহরবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ১০ লাখের বেশি মানুষের কোলন শহরের ইতিহাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধপরবর্তী সময়ে এটিই সবচেয়ে বড় ধরনের সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা।
গতকাল বিকেল থেকেই বোমা নিষ্ক্রিয় করতে বিশেষজ্ঞরা অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করেন। বোমা পাওয়া কোলন শহরের ডয়ট্জ এলাকার চারপাশে প্রায় এক হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে ‘স্পারজোন’ বা চলাচল নিষিদ্ধ এলাকা তৈরি করা হয়। ওই এলাকায় বসবাসকারী সব বাসিন্দাকে তাঁদের বাড়িঘর ছেড়ে বন্ধু, আত্মীয় বা শহর কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে বলা হয়।
এসব অঞ্চলের মধ্যে ছিল কোলনের পুরোনো শহরাংশ, কয়েকটি স্কুল, হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম, ডে-কেয়ার সেন্টার এবং প্রায় ৬০টি হোটেল। দুপুরের পর শহরের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ওই এলাকায় ঘুরে ঘুরে সবাইকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করেন। এলাকা জনশূন্য হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট কাজ শুরু করে।
এ ধরনের বড় অভিযানের কারণে কোলনের রাইন নদীর ওপর গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সেতু ও দক্ষিণ দিকের ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে শহরের যোগাযোগব্যবস্থা অনেকটা থমকে যায়। এ ছাড়া জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা টেডি টেকলেব্রহানের নির্ধারিত শো–ও বাতিল করতে হয়।
শহর কর্তৃপক্ষ বলেছে, তিনটি বোমা একসঙ্গে পাওয়ার কারণেই মানুষের জীবন রক্ষার তাগিদে অনেক লোককে সরিয়ে নিতে হয়েছে।
৮০ বছর আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলেও জার্মানিতে মাটির নিচে এখনো বহু অবিস্ফোরিত বোমা রয়ে গেছে, বিশেষ করে বড় বড় শহরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনী লাখ লাখ বোমা ফেলেছিল। অনেক বোমা তাৎক্ষণিকভাবে বিস্ফোরিত হয়নি এবং বছরের পর বছর মাটির নিচে রয়ে গেছে। নির্মাণ কাজ বা অন্য কারণে সেগুলো আবিষ্কৃত হলে সঙ্গে সঙ্গে এলাকা খালি করে নিরাপদভাবে নিষ্ক্রিয় করা হয়।