প্রেমিকার জন্মদিন উদযাপনে মালদ্বীপে ধাওয়ান
Published: 3rd, June 2025 GMT
স্ত্রী আয়শা মুখার্জির সঙ্গে ২০২৩ সালে বিচ্ছেদের পর বাজে সময় পার করেছেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান। একমাত্র সন্তানের সঙ্গে দেখাও করতে দিচ্ছিলেন না তার সাবেক স্ত্রী। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী স্ত্রীর প্রতি অবিচারের অভিযোগ এনে আবেগি বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
সম্পর্কের খারাপ সময়ের ওই ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছেন শিখর ধাওয়ান। নতুন প্রেমে মজেছেন তিনি। তার এবারের প্রেমিকার নাম সোফি শাইনি। ৩২ বছর বয়সী এই নারী আইরিশ নাগরিক। তবে কর্মসূত্রে থাকেন দুবাইতে। পেশায় একজন ব্যবস্থাপক।
মালদ্বীপে গত সোমবার প্রেমিকা শাইনির ৩২তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন শিখর ধাওয়ান। দু’জনের একান্তে সময় কাটানোর ছবি ইনস্টাগ্রামে ও ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন সাবেক ভারতীয় ওপেনার। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন মাই লাভ (লাল ভালোবাসার এমোজি)।
ধাওয়ানের সঙ্গে প্রেমের বিষয়টি অবশ্য শাইনিও গোপন রাখেননি। দু’জনের একত্রিত ছবি পোস্ট না করলেও নিজের ইনস্টাগ্রামে শাইনি নিজের ছবি পোস্ট করেছেন।
গত মে মাসে শিখর ধাওয়ান ও শাইনির প্রেমের বিষয়টি সামনে আসে। নতুন করে প্রেমে পড়ার বিষয়টি গোপন রাখেননি ধাওয়ান। তার আগে থেকে দু’জনকে বিভিন্ন সময় একসঙ্গে দেখা গেছে। ধাওয়ানের ম্যাচ দেখতেও বিভিন্ন সময়ে স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছেন শাইনি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মানবদেহে সফল মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন, নিউরালিংকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্যারাড্রমিকসের বড় সাফল্য
প্রথমবারের মতো মানব মস্তিষ্ক সফলভাবে প্রতিস্থাপন বা ইমপ্ল্যান্ট করল যুক্তরাষ্ট্রের নিউরোটেক স্টার্টআপ প্যারাড্রমিকস। প্রায় তিন বছর ধরে পশুর দেহে গবেষণা চালানোর পর গত ১৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পরীক্ষা চালায় প্রতিষ্ঠানটি। সফল এই ইমপ্ল্যান্টকে ব্রেন কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) প্রযুক্তিতে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
‘কনেক্সাস’ নামে পরিচিত ডিভাইসটি মস্তিষ্কে স্থাপন ও অপসারণের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় মাত্র ১০ মিনিটে। অস্ত্রোপচারটি পরিচালনা করেন নিউরোসার্জন ডা. ম্যাথু উইলসি ও ডা. ওরেন সাঘের নেতৃত্বাধীন একদল চিকিৎসক ও প্রকৌশলী। কনেক্সাস মূলত এমন একটি বিসিআই ডিভাইস, যা মস্তিষ্কের স্নায়ু সংকেত পড়ে তা ভাষা, লেখা বা কম্পিউটার কার্সর নিয়ন্ত্রণে রূপান্তর করতে পারে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে স্ট্রোক, মেরুদণ্ডে আঘাত কিংবা এএলএসে আক্রান্ত হয়ে বাক্শক্তি হারানো ব্যক্তিদের আবার কথা বলার সক্ষমতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে প্যারাড্রমিকস। মানবদেহে এই প্রথম ইমপ্ল্যান্টটি ব্যবহৃত হয় এক মৃগী রোগীর অস্ত্রোপচারের সময়। রোগীর মস্তিষ্কে খিঁচুনির উৎস অপসারণের সময় সাময়িকভাবে ডিভাইসটি সংযুক্ত করা হয়। এতে গবেষকেরা রোগটির ফলে সৃষ্ট স্নায়বিক পরিবর্তন বিশ্লেষণ করার সুযোগ পান।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত প্যারাড্রমিকসের প্রধান নির্বাহী ম্যাট অ্যাঙ্গেল বলেন, যেসব জটিল মস্তিষ্কজনিত রোগকে এখনো ‘অসাধ্য’ মনে করা হয়, ভবিষ্যতে সেগুলোকে প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাধানযোগ্য সমস্যা হিসেবে দেখা যাবে, এই লক্ষ্যেই তাঁরা কাজ করছেন। প্রতিষ্ঠানটি কয়েক বছর ধরে ভেড়ার ওপর বিসিআই প্রযুক্তি পরীক্ষায় ব্যস্ত ছিল। মানবদেহে সফল প্রয়োগের পর এবার তারা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্যারাড্রমিকস জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রক অনুমোদন পেলে চলতি বছরের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ মানব পরীক্ষায় যাওয়া হবে। প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে, এই দশকের শেষ নাগাদ ডিভাইসটি বাজারজাত করার অনুমোদন মিলবে। বাণিজ্যিকভাবে এটি এক লাখ মার্কিন ডলারে বিক্রি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছে।
ব্রেন কম্পিউটার ইন্টারফেস বা বিসিআই এমন একটি প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে মস্তিষ্ক ও বাইরের যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়। ১৯৭৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞানী জ্যাক ভিদাল প্রথম এই ধারণা দেন। এর পর থেকে বিসিআই প্রযুক্তির উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে চলেছেন গবেষকেরা। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায়, মাইক্রোইলেকট্রোড স্থাপন করা বানর একটি রোবোটিক হাত সচেতনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ২০০৪ সালে পঙ্গু অ্যাথলেট ম্যাট ন্যাগল বিসিআই ব্যবহার করে কম্পিউটার কার্সর ও কৃত্রিম হাত চালাতে সক্ষম হন।
বর্তমানে বিসিআই প্রযুক্তির শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বিতাটি চলছে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান নিউরালিংক ও প্যারাড্রমিকসের মধ্যে। নিউরালিংক এরই মধ্যে তিন রোগীর শরীরে তাদের তৈরি ডিভাইস বসিয়েছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস