রোহিঙ্গাদের জন্য বর্ধিত আর্থিক সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
Published: 4th, June 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে টেকসই সংহতি ও বর্ধিত আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন। এর জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন তিনি। ড. ইউনূস বলেছেন, এমন সহায়তা প্রয়োজন যাতে আর্থিক সংকট লাঘব এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশের সহায়তা আরও জোরদার করা যায়।
মঙ্গলবার রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের।
এ সময় তারা রোহিঙ্গা সংকট এবং রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তার চলমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন। তারা দু’জনই অর্থায়নের ব্যাপক কাটছাঁটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন, যা ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর শিক্ষা ও অন্যান্য জরুরি কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
উভয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তারা সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষী সংস্কার কার্যক্রম শক্তিশালী করতে জাতিসংঘ কীভাবে ব্যাপক সহায়তা দিতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা করেন।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য একটি নির্বিঘ্ন রূপান্তর নিশ্চিত করতে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের সংস্কার ও রূপান্তর প্রক্রিয়ার প্রতি সংহতি পুনর্ব্যক্ত করেন। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে দেশের টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনরায় নিশ্চিত করেন তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাত পোহালেই চাঁদপুরের অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদ
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামে শুক্রবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।
বৃহস্পতিবার রাতে দরবার শরিফের পীরজাদা মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শুক্রবার সকাল ৮টয় সাজ্জাদ দরবার শরীফ ঈদগা ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
আরিফ চৌধুরী বলেন, শুধুমাত্র সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা উদযাপন করে থাকি। এ উপলক্ষে কোরবানির পশু ক্রয়সহ আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
ঈদের প্রথম জামায়াত দরবার শরীফ মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। এই জামায়াতে ইমামতি করবেন পীরজাদা মাওলানা মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী।
এরপর দ্বিতীয় জামায়াত সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা মাঠে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী।
এছাড়া হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ ও মতলব উত্তর উপজেলায় সকাল সাড়ে ৮ থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
আরিফ চৌধুরী জানান, ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রথা চালু করেন।
এছাড়া তার অনুসারী মুসল্লিরা চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একই সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন।
যেসব গ্রামে আগাম ঈদুল আজহা উদযাপন হবে সেগুলো হচ্ছে- হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলাসহ অর্ধশত গ্রাম।