বিক্রি হয়নি বগুড়ার আলোচিত ১১০০ কেজির ‘লাক্সারি প্রাডো’। মালিক ইবনুল রায়াত কাজী চেয়েছিলেন, খামার থেকে গরুটি বিক্রি করতে। কিন্তু, অনলাইন প্লাটফর্ম বা লাক্সারি প্র্যাডো সম্পর্কে জেনে যারা খামারে এসেছিলেন, তারা কেউই কাঙ্ক্ষিত দাম বলেননি বলে জানিয়েছেন খামারি।

ইবনুল রায়াত কাজী বলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান লাক্সারি প্রাডোর ওজন ১১০০ কেজি। এত বড় গরু হাটে তোলার মতো ঝামেলায় জড়াতে চাইনি। খামার থেকেই বিক্রি করা পরিকল্পনা ছিল।’’

‘‘অনলাইনে গরুটি সম্পর্কে জেনে অনেকেই এসেছিলেন। তাদের কাছে ১০ লাখ টাকা দাম চাওয়া হয়েছিল। কিছু কমবেশি হলেও বিক্রি করে দিতাম। কিন্তু, কেউই আশানুরূপ দাম বলেনি। গরুটি এখনো খামারেই রয়েছে।’’- যোগ করেন তিনি।

আরো পড়ুন:

বৃষ্টিতে কোরবানির পশুর দাম কমার আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের

বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি, ঈদের দিনেও সম্ভাবনা

লাক্সারি প্রাডোকে নিজেরাই কোরবানি দিবেন জানিয়ে ইবনুল রায়াত বলেন, ‘‘পারিবারিকভাবে আমাদের বড় গরু কোরবানি দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে পরিবারের সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ষাঁড়টিকে আমরাই কোরবানি দিব।’’

লাক্সারি প্রাডো বিক্রি না হলেও ইবনুল রায়াতের খামারের ২৪টি গরুর মধ্যে ইতোমধ্যে ১৭টি বিক্রি হয়ে গেছে।

ঢাকা/এনাম/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইবন ল র য় ত ক রব ন

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ