চার, ছক্কা ও স্ট্রাইকরেট—সবকিছুতেই আইপিএল গড়ল নতুন রেকর্ড
Published: 5th, June 2025 GMT
আইপিএল মানেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি। আর দিনে দিনে এটি বেড়েই চলেছে। তাতে রেকর্ডে রেকর্ডে প্রতি মৌসুম ছাড়িয়ে যায় আগের মৌসুমকে। এবারের আইপিএলে চার-ছক্কার বন্যায় যেসব রেকর্ড হলো—১২৯৪
চলতি মৌসুমে আইপিএলে ছক্কা হয়েছে ১২৯৪টি। যা আইপিএলের ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ। এর আগে রেকর্ড ছিল ১২৬০টি ছক্কা, যা হয়েছিল গত মৌসুমে। ২০২৩ সালে ছক্কা হয়েছিল ১১২৪ আর ২০২২ সালে ১০৬২টি। মানে দিনে দিনে ছক্কার সংখ্যা যে বাড়ছে, তা এ পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট হচ্ছে।
২২৪৫চার মারার দিক থেকেও এই আইপিএল রেকর্ড গড়েছে। এবারের আইপিএলে ২২৪৫টি চার হয়েছে, যা এক মৌসুমে আইপিএলে সর্বোচ্চ। গত দুই মৌসুমে চার হয়েছিল ২১৭৪টি করে।
আরও পড়ুন‘চাপ নয়, আমরা প্রস্তুত’—সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে আত্মবিশ্বাসী মিতুল১ ঘণ্টা আগে১৫২.৩৯
এবারের আইপিএলে ব্যাটসম্যানের সমন্বিত স্ট্রাইকরেট, যেটিও এক মৌসুমে সর্বোচ্চ। গত মৌসুমে এটি ছিল ১৫০.৫৮।
৫২সব মিলিয়ে এ মৌসুমে ৫২টি ২০০ রানের স্কোর দেখেছে আইপিএল। এক মৌসুমে যা সবচেয়ে বেশি। ২০২৫ সাল ছাড়িয়ে গেল ২০২৪ সালকে, গতবার এমন স্কোর ছিল ৪১টি।
নিকোলাস পুরান সবচেয়ে বেশি ৪০টি ছক্কা মেরেছেনউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।
গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।