‘কালো মানিক’ নামের গরুটি উপহার হিসেবে নেবেন না বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে তাঁকে এটি উপহার দিতে চেয়েছিলেন পটুয়াখালীর এক কৃষক।

আজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ‘কালো মানিক’ নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’র সামনে হাজির হন কৃষক সোহাগ মৃধা। তবে সেটি গ্রহণ করা হবে না বলে তাঁকে জানিয়ে দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছেন।

এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে ষাঁড়টি নিয়ে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঝাটিবুনিয়া গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার সকালে রওনা দেন সোহাগ মৃধা। ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টির ওজন প্রায় ৩৫ মণ। বাজারে যার দাম উঠেছিল প্রায় ১০ লাখ টাকা।

শায়রুল কবির খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা.

এ জেড এম জাহিদ হোসেনের মাধ্যমে ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি উপহারটি ফেরত নিতে বলেছেন। এটি তাঁর (সোহাগ) কাজে লাগাতে বলেছেন। পাশাপাশি ম্যাডাম তাঁর কাছে দোয়া চেয়েছেন। দেশবাসীর কাছেও দোয়া চেয়েছেন।’

আরও পড়ুনখালেদা জিয়াকে উপহার দিতে ‘কালো মানিক’ নিয়ে ঢাকার পথে কৃষক সোহাগ১১ ঘণ্টা আগে

কৃষক সোহাগ মৃধা বিএনপির কর্মী। ছয় বছর ধরে লালন-পালন করেছেন ষাঁড়টি। কুচকুচে কালো রঙের ষাঁড়টিকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা ‘কালো মানিক’ বলে ডাকেন।

আরও পড়ুনখালেদা জিয়াকে ৩৫ মণ ওজনের ‘কালো মানিক’ উপহার দিতে চান কৃষক২৫ মে ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপহ র দ ত

এছাড়াও পড়ুন:

মধ্যরাতে দরজায় কড়া...

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সংগ্রাম নিয়ে কথা বলেছেন অনেক বলিউড অভিনেত্রী। কেউ বলেছেন ছোট শহর থেকে মুম্বাইয়ে টিকে থাকার সংগ্রাম নিয়ে, কেউ আবার বলেছেন সিনেমা পরিবারের বাইরে থেকে এসে বলিউডে জায়গা করে নেওয়া প্রসঙ্গে। এবার নিজে নিজেই হিন্দি সিনেমায় জায়গা করে নেওয়া প্রসঙ্গে কথা বলেছেন দিয়া মির্জা। সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল দ্য অফিশিয়াল পিপল অব ইন্ডিয়ায় সাক্ষাৎকার দেন দিয়া মির্জা। সেখানে তিনি বলিউডে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের নানা ঘটনা নিয়ে কথা বলেন ৪৩ বছর বয়সী অভিনেত্রী।

আরও পড়ুনমনে হচ্ছে মা হওয়ার বিষয়টা খুব সিরিয়াসলি নিচ্ছেন...১১ মে ২০২৫

২০০০ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া’র মুকুট ওঠে দিয়া মির্জার মাথায়। এরপর ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু করেন তিনি। তিনি একজন ‘বহিরাগত’ হয়েও হিন্দি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা করে নেন। কোনো সমর্থন ছাড়াই ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা নিয়ে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে দিয়া বলেন, ‘এটা বলতে গেলে আমাকে এ বিষয়ে একটি বই লিখতে হবে। এই প্রশ্নের উত্তর অনেক জটিল, এর অনেকগুলো স্তর রয়েছে। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি কঠিন এবং ভয়ংকর ছিল।’

দিয়া জানান, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অনাকাঙ্ক্ষিত দর্শনার্থীদের মধ্যরাতে দরজায় কড়া নাড়ার মতো পরিস্থিতিতেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে তিনি নিজের হেয়ারড্রেসারের সঙ্গে রুম ভাগাভাগি করতেন। দিয়া বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত দর্শনার্থীদের এড়াতে আমি বহু বছর আমার হেয়ারড্রেসারের সঙ্গে থেকেছি। এটি আমার জন্য সত্যিই কঠিন ছিল। পেছন ফিরে তাকালে আমার মনে হয়, কীভাবে আমি সেই সময় পার করেছি!’

দিয়া মির্জা। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ