প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল উজবেকিস্তান ও জর্ডান। কাল রাতে ২০২৬ বিশ্বকাপের পর্বের টিকিট নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়াও। আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় ৪৮ দলের বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে।

স্বাগতিক হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার বিশ্বকাপ খেলা আগে থেকেই নিশ্চিত। কাল এই তিন দলসহ বাছাইপর্ব খেলে বিশ্বকাপের মূল পর্ব নিশ্চিত করেছে আরও সাতটি দল।

উজবেকিস্তানের জন্য কাল সমীকরণ সহজ ছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে না হারলেই হতো। সেটাই হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বিশ্বকাপে জায়গা পাকা করে ফেলেছে উজবেকিস্তান।

অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া ২-০ গোলে ইরাককে হারিয়ে টানা এগারোবার বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করেছে। জর্ডান বিশ্বকাপ নিশ্চিতের ম্যাচে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ওমানকে। কাল বিশ্বকাপ নিশ্চিতের জন্য শুধু নিজেরা জিতলেই হতো না, ইরাকেরও দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হারতে হতো। দুটো ফল পক্ষে আসাতেই হয়েছে ইতিহাস।

বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে উজবেকিস্তান আছে ৫৭ নম্বরে। ৩৬ মিলিয়ন মানুষের এই দেশ ১৯৯২ সালে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রথম ম্যাচ খেলে। এর আগে ২০০৬ সালে বিশ্বকাপে ওঠার দারুণ সুযোগ ছিল তাদের। জর্ডানের তখন বাহরাইনের বিপক্ষে দুই লেগের প্লে-অফে খেলতে হয়েছিল।

বিশ্বকাপের টিকিট পেল যারাআর্জেন্টিনা, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, কানাডা, উজবেকিস্তান, জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ইরান ও নিউজিল্যান্ড

এই প্লে-অফের মাধ্যমে নির্ধারিত হতো কে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের প্রতিনিধি হিসেবে কনকাকাফ অঞ্চলের ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর মুখোমুখি হবে। ওই ম্যাচের বিজয়ী পরে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফাইনালে কোয়ালিফাই করত। উজবেকিস্তান প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছিল, কিন্তু রেফারির একটি ভুলের কারণে ফিফা ম্যাচটি আবার খেলার নির্দেশ দেয় এবং তারা শেষ পর্যন্ত অ্যাওয়ে গোলের ভিত্তিতে বাদ পড়ে।

আরও পড়ুনমেসির ফেরার ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে জেতালেন আলভারেজ১ ঘণ্টা আগে

তবে দলটি ১৯৯৬ থেকে প্রতিটি এশিয়ান কাপে খেলেছে। ২০০৪ থেকে প্রতিবারই নকআউটে উঠেছে। ২০১১ সালে সেমিফাইনালে, সর্বশেষ আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে।

এশিয়ান কাপের রানার্সআপ জর্ডান বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে ৬২তম। তারা ১৯৮৬ সাল থেকে সপ্তমবারের মতো বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অংশ নিচ্ছে। এর আগে বিশ্বকাপ খেলার সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়েছিল ২০১৪ সালে, তবে তখন তারা আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফে উরুগুয়ের কাছে হেরে যায়।

আরও পড়ুনআনচেলত্তির অভিষেক রাঙাতে পারলেন না ভিনিসিয়ুসরা, ব্রাজিলের হতাশার ড্র৩ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উজব ক স ত ন ব শ বক প র

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া

ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।

অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।

এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।

দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।

২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ দাবিই পূরণ চান অনশনরত জবি শিক্ষার্থীরা
  • জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • সানসিল্কের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো ঢাকায় পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
  • গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইসরায়েল: প্রথমবারের মতো বলল জাতিসংঘ
  • ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া