ঈদের দিন যেসব অঞ্চলে নামতে পারে বৃষ্টি
Published: 6th, June 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল আজহা আজ। অনেকের আগ্রহ, কেমন থাকবে সারাদিনের আবহাওয়া। পূর্বাভাস বলছে, ঈদের দিন দেশের অন্তত তিন বিভাগের কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। বাকি বিভাগগুলো একেবারে বৃষ্টিহীন না–ও হতে পারে। তবে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানান, মৌসুমি বায়ু এখন সক্রিয়। তবে এর প্রভাব কমে এসেছে। শুক্রবার, শনিবার (ঈদের দিন) এবং তার পরের দিন বৃষ্টি অপেক্ষাকৃত কমে আসতে পারে।
চলতি জুন মাসের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি চলছে। আসলে গত মে মাসের শেষের দিক থেকেই এ বৃষ্টির শুরু। শেষ সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে দেখা দেয় গভীর নিম্নচাপ। এর প্রভাবে দেশজুড়ে বৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে ২৪ মে দেশে মৌসুমি বায়ুর প্রবেশ ঘটে। নির্ধারিত সময়ের অন্তত এক সপ্তাহ আগেই এবার আগমন ঘটে দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি ঝরানো এ বায়ুর। এর পর থেকে বৃষ্টি কমবেশি চলছে।
বজলুর রশীদ বলেন, ঈদের দিনও অপেক্ষাকৃত শুকনো থাকবে। তবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। তবে এর পরিমাণ খুব বেশি হবে না। রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকটাই কম। রাজধানীসহ ঢাকা বিভাগে সামান্য কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। রাজধানীতে বৃষ্টি হলেও এক পশলা হতে পারে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে নারায়ণগঞ্জে—২৭ মিলিমিটার। আগের দিন দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি ছিল ৫৫ মিলিমিটার। এটা হয়েছিল কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায়। গতকাল রাজধানীতে এক মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
থেমে থেমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা কিন্তু খুব কমছে না। বরং ভ্যাপসা গরম পড়ছে বৃষ্টির পরপরই। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় এমন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ র দ ন
এছাড়াও পড়ুন:
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।
তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল