ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এনসিপির নতুন সমন্বয় কমিটি থেকে দুই নেতার পদত্যাগ
Published: 7th, June 2025 GMT
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপজেলা সমন্বয় কমিটি গঠনের দুই দিনের মাথায় দুই সদস্য পদত্যাগ করেছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ফেসবুকে ওই দুজন পৃথক স্ট্যাটাস দিয়ে তাঁদের পদত্যাগের কথা জানান।
১৭ সদস্যের এই কমিটির সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছেন রিফাত বিন আতিক ও সাজ্জাদ খান। গত বুধবার এই কমিটির অনুমোদন দেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
কমিটিতে মো.
পদত্যাগকারী রিফাত বিন আতিক তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন,‘সদ্যঘোষিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভাঙ্গা উপজেলা (ফরিদপুর) সমন্বয় কমিটি থেকে স্বেচ্ছায় এবং সজ্ঞানে পদত্যাগ করছি!’
রিফাত বলেন, ‘আমি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছিলাম বিবেকের কারণে। কোনো রাজনৈতিক দল বা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আমার ইচ্ছা নেই। আমি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সরকারি প্রকল্পে কাজ করি। আমার পরিবারের সদস্যরাও সরকারি চাকরিতে যুক্ত। এ কারণে আমার পক্ষে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। আমার সঙ্গে এনসিপি কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে কোনো যোগাযোগ না করেই কমিটিতে রাখা হয়েছে। আমি যে এনসিপির নেতা হব, তা আমি জানতাম না। কমিটিতে নাম দেখার পরই আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
অন্যদিকে সাজ্জাদ খান তাঁর ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘আমি মো. সাজ্জাদ খান, সদস্য ফরিদপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আহ্বায়ক কমিটি (ভাঙ্গা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র)। আমি এই কমিটি বয়কট করলাম এবং আমার নাম এই কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। কেন্দ্রের যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁদের বলতে চাই, যে কমিটিতে বৈষম্য আছে, বিপ্লবীদের বাদ দিয়ে তেলবাজদের জায়গা দেওয়া হয়েছে, সেটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
এ ব্যাপারে সাজ্জাদ খান বলেন, এই কমিটির দায়িত্ব শুধু একটা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা। ভাঙ্গার আন্দোলনে যাঁরা সংগ্রামী ছিলেন, সেই বিপ্লবীদের জায়গা দেওয়া হয়নি সমন্বয় কমিটিতে। বিপ্লবীরা না থাকলে বিপ্লবীদের খুঁজে বের করবে কীভাবে? তাই আমি অভিমান করে পদত্যাগ করেছি।’
এসব অভিযোগের ব্যাপারে এনসিপির ফরিদপুর অঞ্চলের সংগঠক রাকিব হাসান বলেন, ‘রিফাত বিন আতিক পদ পেয়েছেন, কিন্তু আগে থেকে জানেন না ব্যাপারটি এমন হওয়ার কথা ছিল না। আমাদের কেন্দ্রীয় দুই সদস্যের দায়িত্ব ছিল তাঁদের সাথে যোগাযোগ করা। এখানে হয়তো একটা মিস কমিউনিকেশন হয়েছে। সাজ্জাদ প্রত্যাশিত পদ না পাওয়ায় বিপ্লবীদের জায়গা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। আমরা এ বিষয়গুলো সমাধানের উদ্যোগ নেব।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এনস প র য় কম ট ই কম ট কম ট ত সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
সীমান্তে চামড়া পাচার ও পুশইন রোধে সতর্ক বিজিবি
কোরবানির পশুর চামড়া পাচার ঠেকাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত এলাকায় সতর্কাবস্থানে আছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ইতোমধ্যে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়ন জেলার আখাউড়া, কসবা ও বিজয়নগর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় টহল বাড়িয়েছে। পাশাপাশি তারা ভারতীয় নাগরিকদের অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া (পুশইন) রোধেও কঠোর অবস্থানে আছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়ন সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী। এই তিন উপজেলার ৭৩ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৩১ কিলোমিটারে দায়িত্ব পালন করে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়ন। এ ছাড়া ৪২ কিলোমিটার সীমান্ত বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধীনে।
সূত্র জানায়, প্রতি বছর ঈদুল আজহার পরপর সীমান্ত দিয়ে কোরবানির পশুর চামড়া পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বে থাকা আখাউড়ার একাংশ ও জেলার বিজয়নগর; হবিগঞ্জের মাধবপুর সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহমেদ শনিবার সন্ধ্যায় সমকালকে বলেন, সীমান্তে যেকোনো অপরাধ তৎপরতা ঠেকাতে তাঁর বাহিনী তৎপর রয়েছে। চামড়া পাচার রোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। কোনো অবস্থাতেই সীমান্ত দিয়ে পশুর চামড়া পাচার করতে দেবেন না তারা। পাশাপাশি মাদক চোরাচালান ও অবৈধভাবে পুশইন করতে না দেওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি।