৫ দিনে সোয়া ২ লাখ গাড়ির যমুনা সেতু পারাপার, টোল আদায় পৌনে ১৭ কোটি টাকা
Published: 7th, June 2025 GMT
এবার ঈদে যমুনা সেতু দিয়ে রেকর্ডসংখ্যক যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। গত রোববার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২ লাখ ২৮ হাজার ৪৭টি যানবাহন সেতু পারাপার করে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১৬ কোটি ৭৬ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫০ টাকা।
এর মধ্যে বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতুর ইতিহাসে সর্বোচ্চসংখ্যক যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় হয়েছে।
যমুনা সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সেতুর টোল প্লাজা সূত্র জানায়, স্বাভাবিক সময়ে যমুনা সেতু হয়ে প্রতিদিন ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। সাধারণত প্রতি ঈদে ছুটি শুরু হওয়ার পর থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। এবার ঈদের ছুটি শুরুর আগে থেকেই ছিল যানবাহনের চাপ।
গত রোববার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত পাঁচ দিনে সেতুর পূর্ব প্রান্ত (টাঙ্গাইলের দিক) থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৭টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৯ কোটি ৪৩ লাখ ৪ হাজার ৬০০ টাকা। এই সময় সেতুর পশ্চিম প্রান্ত (সিরাজগঞ্জের দিক) থেকে ৮৭ হাজার ২৯০টি যানবাহন পার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৫০ টাকা।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে ঈদের আগের দিন (শুক্রবার) রাত ১২টা পর্যন্ত ৪৮ হাজার ১৮৪টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাহার ৭৫০ টাকা।
সর্বোচ্চসংখ্যক যানবাহন পারাপার হয়েছে বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত। এদিন ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন সেতু পারাপার করে। টোল আদায় হয় ৪ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকা। ১৯৯৮ সালে যমুনা সেতু চালু হওয়ার পর সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় ছিল এই দিন।
মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৫১ হাজার ৮৪৯টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। এর আগে সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৫৬৪টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ২ কোটি ৮৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯ টাকা।
রোববার রাত থেকে এবার ঈদে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু হয়। ওই দিন রাত ১২টা থেকে সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৩০ হাজার ১৬৭টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ২ কোটি ৭৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ টাকা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব র র ত ১২ট প র প র হয়
এছাড়াও পড়ুন:
লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র কারাগারে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলমের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ জুলাই) লোহাগড়া আমলী আদালতের বিচারক রত্না সাহা এই আদেশ দেন। নড়াইল আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ), যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আরো পড়ুন:
সমন্বয়ক পরিচয়ে তদবির-হুমকি: যুবককে ২ মাসের কারাদণ্ড
চট্টগ্রাম কারাগার পরিদর্শন: ছবি তোলা নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা
এ সময় ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে তারা গুলি ছুঁড়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ১৩ শিক্ষার্থীকে রামদা, বাঁশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার মুখ্য সংগঠক কাজি ইয়াজুর রহমান বাবু বাদী হয়ে ২৯৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো সাড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ নম্বর আসামি করা হয় আশরাফুল আলমকে।
ঢাকা/শরিফুল/রাজীব