এবার ঈদে যমুনা সেতু দিয়ে রেকর্ডসংখ্যক যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। গত রোববার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২ লাখ ২৮ হাজার ৪৭টি যানবাহন সেতু পারাপার করে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১৬ কোটি ৭৬ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫০ টাকা।

এর মধ্যে বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতুর ইতিহাসে সর্বোচ্চসংখ্যক যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় হয়েছে।

যমুনা সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সেতুর টোল প্লাজা সূত্র জানায়, স্বাভাবিক সময়ে যমুনা সেতু হয়ে প্রতিদিন ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। সাধারণত প্রতি ঈদে ছুটি শুরু হওয়ার পর থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। এবার ঈদের ছুটি শুরুর আগে থেকেই ছিল যানবাহনের চাপ।

গত রোববার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত পাঁচ দিনে সেতুর পূর্ব প্রান্ত (টাঙ্গাইলের দিক) থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৭টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৯ কোটি ৪৩ লাখ ৪ হাজার ৬০০ টাকা। এই সময় সেতুর পশ্চিম প্রান্ত (সিরাজগঞ্জের দিক) থেকে ৮৭ হাজার ২৯০টি যানবাহন পার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৫০ টাকা।

বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে ঈদের আগের দিন (শুক্রবার) রাত ১২টা পর্যন্ত ৪৮ হাজার ১৮৪টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাহার ৭৫০ টাকা।

সর্বোচ্চসংখ্যক যানবাহন পারাপার হয়েছে বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত। এদিন ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন সেতু পারাপার করে। টোল আদায় হয় ৪ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকা। ১৯৯৮ সালে যমুনা সেতু চালু হওয়ার পর সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় ছিল এই দিন।

মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৫১ হাজার ৮৪৯টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। এর আগে সোমবার রাত ১২টা থেকে  মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৫৬৪টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ২ কোটি ৮৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯ টাকা।

রোববার রাত থেকে এবার ঈদে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু হয়। ওই দিন রাত ১২টা থেকে সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৩০ হাজার ১৬৭টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ২ কোটি ৭৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ টাকা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব র র ত ১২ট প র প র হয়

এছাড়াও পড়ুন:

উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’

কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।

সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।

নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত

সম্পর্কিত নিবন্ধ