তিন বছর আগে ফাইনাল হেরে ঠিক যেখানে বসে তোয়ালেতে মুখ ঢেকে কেঁদেছিলেন, সেখানে প্যারিসের সেই রোঁলা গারোতে শনিবারও কাঁদলেন কোকো গফ। তবে এবার সেটা ছিল তার আনন্দাশ্রু। আড়াই ঘণ্টা লড়াই চালিয়ে টেনিসের শীর্ষ বাছাই আরিনা সাবালেঙ্কাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ের গর্বিত মুহুর্ত। দশ বছর কোন মার্কিন কন্যার প্যারিসে রানী হওয়ার কৃতিত্ব। প্রথম সেট হারার পরেও ঘুরে দাড়ানোর মানসিক শক্তির নির্দশন। 

সাবালেঙ্কাকে হারানোর পরেই তাই কার্টর বাইরে থাকা তার ব্যাগ থেকে একটি চিরকুট বের করেন কোকো গফ। ‘আমিই ২০২৫ ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতব’–ফাইনালের আগের রাতে নিজের হাতে লিখে বারবার আয়নার সামনে নিয়ে দেখেছিলেন কোকো। অলিম্পিক জয়ী মার্কিন স্প্রিন্টার গ্যাবি থমাসও এভাবে নিজেকে নিজে অনুপ্রাণিত করতেন। সেই থমাসের সঙ্গেও ফাইনালের আগে কথা হয়েছিল কোকোর। মনের জোরটা সেখান থেকেও পেয়েছেন তিনি। 

‘কাগজে এই লেখাটা নিয়ে আমি আয়নার সামনে দাড়িয়েছিলাম। চেষ্টা করছিলাম তা মাথায় নিতে। যাতে করে আমার নিজের মধ্যেই বিশ্বাসটা গেঁথে যায়। জানি না, তা কাজে লেগেছে কিনা, তবে এটা হয়েছে। আমি চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি।’ ম্যাচের পর কোকো গফের উপলব্ধি।

আসলে এদিন ফাইনালে শীর্ষ ও দ্বিতীয় বাছাইয়ের লড়াইটি দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল। বেলারুশ কন্যা সাবালেঙ্কা ‘পাওয়ার’ টেনিসে বিশ্বাসী। আবার সেই পাওয়ার টেনিসই তার দুর্বলতা। একবার ভুল করতে শুরু করলে আরও জোরে শট খেলার চেষ্টা থাকে তার। আর ভুলটা করে বসেন সেখানেই। রেগে গিয়ে মনযোগ হারিয়ে ফেলেন। কোকো গফ ঠিক এই কৌশলটাই কাজে লাগিয়েছেন। পুরো ম্যাচে ৭০ টা আনফোর্সড এরর করেছেন সাবালেঙ্কা। কোকোর থেকে ৪০ টা বেশি। সাবালেঙ্কার সার্ভিস নয় বার ভেঙ্গেছেন কোকো। আর সাবালেঙ্কা সেখানে ছয়বার ভাঙ্গতে পেরেছেন কোকোর সার্ভিস। বছর একুশের কোকোর এই মানসিক দৃঢ়তার কাছেই শেষ পর্যন্ত তিন সেটের লড়াই ৭(৭)–৬(৫), ৬–২, ৬–৪ এ জিতে নেন বছর একুশের কোকো গফ। 

তিনি জানতেন এক ঘণ্টা সতেরো মিনিটের প্রথম সেটেই সাবালেঙ্কা সমস্ত শক্তি ক্ষয় করে ফেলেছেন। তাই অপেক্ষায় ছিলেন শুধু তার ভুলের জন্য। ম্যাচের পর কোকো গফের এই বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করেন সাবালেঙ্কা নিজেও। 

‘তুমি আমার থেকে ভালো খেলোয়াড়। তুমি লড়াই ছাড়োনি। আমাকে ভুল করতে বাধ্য করেছ। দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যামের জন্য তোমাকে শুভেচ্ছা।’ কোকো তার প্রথম গ্রান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন ইউএস ওপেনে ২০২৩ সালে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি সংশোধন

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য ১৪ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবকাশকালীন বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি। তবে এ বিষয়ে ২৮ আগস্ট জারি করা সুপ্রিম কোর্টের ৩৯৭-এ নম্বর বিজ্ঞপ্তির আংশিক সংশোধন আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সরকার এক তথ্য বিবরণীতে বিজ্ঞপ্তির আংশিক সংশোধনের বিষয়টি জানায়। 

সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন যৌথভাবে ডিভিশন বেঞ্চে বসবেন। তারা হাইকোর্টের মূল ভবনের ২৩ নম্বর কক্ষে নির্ধারিত তারিখে বেলা ১১টা ৪০ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শুনানি গ্রহণ করবেন।

এ সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও মানি লন্ডারিং আইন সংশ্লিষ্ট মামলা, জরুরি ফৌজদারি মোশন, ফৌজদারি আপিল ও জামিন সংক্রান্ত আবেদনপত্র, জেল আপিল, রিভিশন এবং অন্যান্য ফৌজদারি বিবিধ মামলার শুনানি হবে। এছাড়া, বেঞ্চে স্থানান্তরিত বিষয়গুলোতেও শুনানি ও আদেশ দেওয়া হবে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/টিএই

সম্পর্কিত নিবন্ধ