ছুটির বাকি দিনগুলোতে খাবারের গুণগত মান বাড়ান, পরিমাণ নয়
Published: 9th, June 2025 GMT
খাবারের অনিয়ম শরীরের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। সঠিক সময়ে সঠিক খাবার পরিমিত পারিমাণে না খাওয়া শরীরের জন্য বেশি ক্ষতিকর। তাই আসুন ঈদের ছুটির বাকি দিনগুলোর একটা পরিকল্পনা করে ফেলা যাক।
সকালের নাশতাসকালের নাশতায় রুটি/পরোটা/খিচুড়ির সঙ্গে থাকতে পারে একটা ডিম, মাংস বা সবজি। এক্ষেত্রে গতানুগতিক সবজির পরিবর্তে চাইনিজ সবজি রাখা যেতে পারে। খাবারকে সুষম করতে হলে সবজি রাখতেই হবে। সঙ্গে ঈদ উপলক্ষে ডেজার্ট, যেমন নবাবি সেমাই, সেমাই, পায়েস, ফিরনি, মিষ্টি বা পুডিং থাকতে পারে। এসব যেহেতু সরল শর্করাযুক্ত খাবার, সেক্ষেত্রে পরিমাণে কিছুটা কম খেতে হবে। অন্যান্য কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ খাবারও পরিমিত পারিমাণে খেতে হবে।
মধ্যসকালঅন্যান্য দিনের মতো এই ছুটির দিনগুলোতেও সকাল ও দুপুরের মাঝের সময়টাতে হালকা কিছু খেতে হবে। অনেকেই ফুচকা, চটপটি খেতে পছন্দ করেন। তবে এখন যেহেতু বেশ গরম, তাই এই সময় ফলের সালাদ বা বাসায় তৈরি তাজা ফলের রস খাওয়া যেতে পারে। টকদই, বাদাম ও ফল দিয়ে বানানো লাচ্ছিও হতে পারে ভালো বিকল্প। এতে গরমে শরীরে পানিস্বল্পতা হবে না।
দুপুরের খাবারঈদের ছুটির দিনগুলোতে আমরা চেষ্টা করি খাবারগুলো একটু স্পেশাল করতে। তবে স্পেশাল খাবার অবশ্যই স্বাস্থ্যকর হতে হবে এবং খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে।
এসব দিনে দুপুরে কম তেলে রান্না পোলাও বা বিরিয়ানি খাওয়া যেতে পারে। সঙ্গেচিকেন, রোস্ট, কাবাব এবং গরু/খাসির মাংস রাখতে পারেন। পাতে রাখতে পারেন শসা, গাজর, টমেটো, লেটুসপাতা ওক্যাপসিকামের মিশ্র সালাদ। এইসালাদ একটু বেশি পরিমাণে খেলে শাকসবজি না খেলেও চলবে।যাঁদের অ্যাসিডিটির সমস্যা বেশি, তাঁরা রোস্টের পরিবর্তে মুরগির কোরমা খাবেন। যেহেতু মাংসের অধিক পদ থাকবে, তাই প্রতিটি পদ থেকে অল্প পরিমাণে খেতে হবে। অনেকে এসবদিনে কোমলপানীয় খেতে পছন্দ করেন। এক্ষেত্রে মাঠা, লাবাং বা বোরহানি খাওয়াই উত্তম।
বৈকালিক স্ন্যাকসবৈকালিক স্ন্যাকস হিসাবে নুডুলস, পাস্তা, গ্রিল, কাবাব, শর্মা, লাসানিয়া রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া চাইলে দুধ দিয়ে বানানো খাবারও খেতে পারেন।
রাতের খাবারএসব দিনে দুপুরে একটু ভারী খাবারই খাওয়া হয়। তাই রাতে সহজপাচ্য খাবারগুলোতেই প্রাধান্য দিতে হবে। রাতে রুটি বা সাদা ভাতের সঙ্গে মাছ, সবজি আর ডাল খাওয়া যেতে পারে। দিনে মাংস খাওয়া হলে রাতে বাদ দিতে পারেন। দরকার হলে স্বাদ পালটাতে মাছের ফিলে, স্টেক, কোফতা, পাতুরি বা ভাপা ইলিশ খাওয়া যেতে পারে। আরও সহজপাচ্য কিছু খেতে চাইলে চিকেন ভেজিটেবল স্যুপ খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
ব্যায়ামঈদের ছুটির দিনগুলোতেও সকাল, বিকেল বা রাতে আপনার সুবিধামতো সময়ে একবেলা শরীরচর্চা করতে হবে। আমরা ঈদের ছুটির দিনগুলোতে না চাইলেও কিছুটা বেশি খাবার খেয়ে ফেলি। তাই অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ করতে শরীরচর্চা আবশ্যক।
মো.
ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঈদ র ছ ট র পর ম ণ
এছাড়াও পড়ুন:
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।
তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল