চট্টগ্রাম বিভাগে পৌনে ৮ লাখ চামড়া সংগ্রহ
Published: 9th, June 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলায় এ বছর কোরবানির পশুর পৌনে ৮ লাখ চামড়া সংগ্রহ করে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু ও মহিষের চামড়া ৭ লাখ ৪৫৪টি এবং ছাগলের চামড়া ৭৪ হাজার ৩০২টি।
সোমবার (৯ জুন) সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুমে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
চট্টগ্রাম জেলায় ২ লাখ ৭২ হাজার ১০০টি, কুমিল্লায় ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৮৫টি, নোয়াখালীতে ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৩১টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯৯ হাজার ৭৩১টি, চাঁদপুরে ২৩ হাজার ৬৫টি, ফেনীতে ১৩ হাজার ৫০৯টি, লক্ষ্মীপুরে ১১ হাজার ৮৩৭টি, খাগড়াছড়িতে ৫ হাজার ৮৪৯টি, কক্সবাজারে ৩৭ হাজার ৮৮৯টি, রাঙামাটিতে ২ হাজার ৮৪৮টি এবং বান্দরবান জেলায় ২ হাজার ২৯৯টি চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
বেঁধে দেয়া দামে চামড়া বিক্রি হচ্ছে : উপদেষ্টা
চামড়া বিক্রি করতে না পেরে নদীতে ফেলে ক্ষোভ, ব্যবসায়ী আটক
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এ বছর কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা এবং এতিমদের হক আদায়ের স্বার্থে মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিনামূল্যে ৩০ হাজার টন লবণ বিতরণ করা হয়েছে। এ লবণ ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে চামড়া ২ থেকে ৩ মাস সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
ঢাকা/এএএম/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।