ত্রাণবাহী ‘ম্যাডলিন’ জাহাজ থেকে ভিডিও বার্তায় যা বললেন থুনবার্গ
Published: 9th, June 2025 GMT
আন্তর্জাতিক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) পরিচালিত ত্রাণবাহী জাহাজ ‘ম্যাডলিন’ গাজায় ভিড়তে দেয়নি ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিদের জন্য ইতালি থেকে যাওয়া জাহাজটি আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকেই ইসরায়েলের আশদাদ বন্দরের পথে নেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন ওই জাহাজে থাকা সুইডেনের পরিবেশবিষয়ক আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।
তিনি ভিডিওতে বলেন, ‘আমার নাম গ্রেটা থুনবার্গ, আমি সুইডেন থেকে এসেছি। আন্তর্জাতিক জলসীমায় আমাদের আটকে রাখা হয়েছে। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী কিংবা ইসরায়েলকে সমর্থন জোগানো বাহিনী আমাদের অপহরণ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার সব বন্ধু, পরিবার ও সহকর্মীদের অনুরোধ করছি, তারা যেন আমাকে এবং অন্যদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুক্তির ব্যবস্থা করার জন্য সুইডিশ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন।’
জাহাজটি ইসরায়েলি বাহিনী দখলে নেওয়ার প্রাক্কালে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়ে ওই ভিডিও বার্তা দেন গ্রেটা থুনবার্গ; যদিও সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনায় ভিডিওটি আগে থেকেই রেকর্ড করে রাখা হয়েছিল।
ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য ইতালি থেকে জাহাজটিতে করে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আসা হয়েছে। ম্যাডলিন জাহাজে গ্রেটা থুনবার্গসহ বিভিন্ন দেশের মোট ১২ জন মানবাধিকারকর্মী আছেন।
গ্রেটা থুনবার্গ ছাড়াও ম্যাডলিন জাহাজে আছেন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক ও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য রিমা হাসান, জার্মানির ইয়াসেমিন আচার, ফ্রান্সের ব্যাপতিস্ত আন্দ্রে, ব্রাজিলের থিয়াগো আভিলা, ফ্রান্সের ওমর ফায়াদ, পাস্কাল মৌরিয়েরাস, ইয়ানিস মোহামদি, তুরস্কের সুলাইব ওর্দু, স্পেনের সার্জিও তোরিবিও, নেদারল্যান্ডসের মার্কো ফন রেনেস ও ফ্রান্সের রিভা ভিয়া।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ম্যাডলিন জাহাজটি আটক করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘“সেলফি ইয়ট” এবং তথাকথিত “সেলিব্রিটিদের” নিরাপদে ইসরায়েলের উপকূলের দিকে নিয়ে আসা হচ্ছে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে লিখেছে, তাদের জাহাজ থেকে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া টেলিগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে ত্রাণ দিতে যাওয়া মানবাধিকারকর্মীদের হাত ওপরের দিকে তুলে বসে থাকতে দেখা গেছে।
সংস্থাটির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গাজার মানুষের জন্য অত্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে যেসব সহায়তা দরকার, সেগুলো বহন করছে জাহাজটি। এর মধ্যে আছে চিকিৎসার সরঞ্জাম, ময়দা, চাল, শিশুদের দুধ (বেবি ফর্মুলা), ডায়াপার, নারীদের স্যানিটারি পণ্য, পানি বিশুদ্ধকরণ কিট, ক্রাচ ও শিশুদের কৃত্রিম অঙ্গ।
সূত্র: আল জাজিরা
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র ট থ নব র গ ইসর য় ল গ জ গণহত য ইসর য় ল র জন য জ হ জট
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে বিএনপি'র দুপক্ষের সংঘর্ষ, হামলা, ভাংচুর ও লুটের অভিযোগ : আহত ২
সোনারগাঁয়ে ডিশ ব্যবসা ও বালু ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি দুই পক্ষের সংঘর্ষ, হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে মঞ্জুর ও হারুন নামে দুজন আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে মঞ্জুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং হারুনকে চিটাগাং রোডের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহত দু’জনই বিএনপির কর্মী।
রবিবার (৮ জুন) রাত দশটার দিকে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড চেংগাকান্দি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, ডিশ ব্যবসা ও বালু ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি'র যুবদল নেতা হারুনের সাথে ছাত্রদল নেতা ইউনূসের বড় ভাই মঞ্জুর তর্কে লিপ্ত হন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষই মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।
এতে মঞ্জুর ও হারুন দুজনই মারাত্মকভাবে আহত হলে তাদেরকে উদ্ধার করে মঞ্জুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং হারুনকে চিটাগাং রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা ইউনুস বলেন, আমার বড় ভাই মঞ্জুরকে যুবলীগ নেতা ইকবালের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে রাতের খাবার খাওয়া থেকে ফোন করে উঠিয়ে নিয়ে হামলা করে। হামলার সাথে জড়িতরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের সমর্থক বলে জানা গেছে।
তিনি আরও জানান, হামলাকারীরা তার ঘরবাড়ি ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করে। এ সময় তার বোনের বিয়ের জন্য রাখা পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, এক লাখ বিশ হাজার টাকা নগদ অর্থ ও কোরবানির গরুর মাংসসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি বিল্লাল মুন্সী বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপ মান্নান গ্রুপ ও রেজাউল গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এখানে আমার চাচাতো ভাই ইকবাল জড়িত নয়। যুবদল নেতা হারুন ও মঞ্জুর তারা ওই এলাকায় ডিশ ব্যবসা ও বালুর ব্যবসা করে আসতেছে।
এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই তাদের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এখানে আমি কিংবা আমার ভাই যুবলীগ নেতা ইকবাল জড়িত নয়। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। মামলার বিষয় চলমান আছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।