ঢাকার ধামরাইয়ে মা ও দুই ছেলে হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করেছে পিবিআই। শাশুড়ি ও দুই শ্যালককে একাই হত্যা করে এক যুবক। তাদের জানাজায়ও অংশ নেয় সে।
গত ২ জুন তিনজনের লাশ উদ্ধারের পর ৪ জুন রাতে রবিন হোসেন (২২) নামে যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের মধুডাঙ্গা এলাকা থেকে আটক করা হয়। এর পর জিজ্ঞাসাবাদে রবিন তার শাশুড়ি নারগিস বেগম (৪০), দুই শ্যালক শামীম হোসেন (১৭) ও সোলায়মানকে (৬) একাই বালিশচাপা দিয়ে 
হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের ঢাকা জেলার সুপার কুদরত-ই-খুদা। 
গ্রেপ্তার রবিন উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তাকে গত ৫ জুন আদালতে পাঠানো হলে শাশুড়ি ও দুই শ্যালককে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এর পর আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নিহত নারগিস, শামীম ও সোলায়মান উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের রক্ষিত গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার স্ত্রী ও দুই ছেলে।
জানা যায়, রাজা মিয়া ডেকোরেটরের ব্যবসা করতেন। বছরখানেক আগে তিনি মারা যান। আড়াই বছর আগে তাঁর মেয়ে নাসরিন আক্তারের সঙ্গে রবিনের বিয়ে হয়। রাজা মিয়া মারা যাওয়ার পর তাঁর ডেকোরেটরের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন রবিন ও তাঁর শাশুড়ি নারগিস। মাদকাসক্ত রবিন ব্যবসার অধিকাংশ টাকা ব্যয় করে ফেলে। এ কারণে আড়াই মাস আগে ডেকোরেটরের ব্যবসা ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন নারগিস। এ নিয়ে পারিবারিক কলহের শুরু। 
পিবিআই ঢাকা জেলার সুপার কুদরত-ই-খুদা জানান, এই কলহের জেরে রবিন গত ১ জুন রাতে নাসরিনকে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে ৬ কিলোমিটার দূরে শ্বশুরবাড়ি যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে রবিন প্রথমে টিনের বেড়া খুলে শামীমের ঘরে ঢুকে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে পাশের কক্ষে নারগিস ও সোলায়মানকেও বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে। এর পর কৌশলে দরজা লাগিয়ে রাতেই নিজ বাড়িতে চলে যায় রবিন। পরদিন ২ জুন পুলিশ লাশ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ৩ জুন সন্ধ্যায় তিনজনের জানাজায় অংশ নেয় রবিন। 
পিবিআই জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর নাসরিন, রবিনসহ কয়েকজনকে নজরদারিতে রাখা হয়। ৪ জুন রবিনকে আটক করলে সে তিনজনকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে এ তিন খুনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত 
নারগিসের ভাই আব্দুর রশিদ অপমৃত্যু মামলা করেন। পরে রবিন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করলে থানায় হত্যা মামলা করা হয়। রবিন এখন জেল হাজতে রয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য স ব ক র কর ন রগ স হত য র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে ছাত্র জমিয়তের কর্মী সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত

আড়াইহাজারে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কর্মী সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ১০ টায় থানা প্রেসক্লাবে এর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ছাত্র জমিয়ত এর সভাপতি মুহাম্মদ উসামা বিন হানিফ।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জমিয়ত এর সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মাসরুর আহমদ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্র জমিয়তের আহবায়ক মুহাম্মাদ আবুল হাসানাত মেহরাব।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্র জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা আবু হানিফ,  সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খন্দকার গিয়াসুদ্দিন, সাবেক সভাপতি মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, অর্থ সম্পাদক মাওলানা ইসমাইল। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সচিব মুহাম্মদ শরিফ সিয়াম।

সম্মেলনে বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, সকল ক্যাম্পাস গুলোতে রাজনীতির নামে যেই অপরাজনীতি গুলো চলমান রয়েছে সেগুলো থেকে এবং সন্ত্রাসমূলক সকল কর্মকাণ্ড থেকে ক্যাম্পাসগুলোকে মুক্ত রাখতে হবে, যদি ক্যাম্পাসগুলোতে এই অপরাজনীতি গুলো কেউ চলমান রাখার চেষ্টা করে তাহলে যেকোনো মূল্য তাদেরকে প্রতিহত করবে ছাত্র জমিয়ত আড়াইহাজার উপজেলা।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ