এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ দলকে ঘিরে ছিল বিপুল আশাবাদ। তবে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ম্যাচের শুরুতেই প্রতিপক্ষের দুটি গোলে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল শোধ করলেও শেষ পর্যন্ত সমতা ফেরাতে পারেনি। ২-১ গোলের হার এবং পয়েন্ট হারানোর আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন হামজারা।

তবে হতাশার মাঝেও একটি আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন বাংলাদেশি সমর্থকরা। একই দিন ‘সি’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে হংকং ভারতকে ১-০ গোলে হারানোয় গ্রুপে পয়েন্ট সমান হলেও গোলের হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ভারতের উপরে।

দুই দলেরই দুটি ম্যাচে একটি করে ড্র ও একটি করে হার। তবে গোলের ব্যবধানে বাংলাদেশ সামান্য এগিয়ে। ভারত এখনো পর্যন্ত কোনো গোল করতে না পারলেও একটি গোল হজম করেছে। বাংলাদেশ দুই গোল খেলেও একটি গোল করেছে, যা টেবিলে এগিয়ে থাকার কারণ।

আরো পড়ুন:

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল সেনেগাল

দারুণ জয়ে বিশ্বকাপে ব্রাজিল

বর্তমানে এই গ্রুপে হংকং শীর্ষে, সিঙ্গাপুর দ্বিতীয়, বাংলাদেশ তৃতীয় এবং ভারত চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। তবে পরবর্তী ধাপে খেলার সুযোগ পেতে হলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে বাকি ম্যাচগুলোতে জয় ছাড়া বিকল্প নেই কাবরেরার শিষ্যদের সামনে।

এখনো বাছাইপর্বে বাংলাদেশের সামনে রয়েছে চারটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। চলতি বছরের অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে ঘরে ও বাইরে দুই ম্যাচ এবং নভেম্বরে ভারতের বিরুদ্ধে একটি হোম ম্যাচ রয়েছে। সবশেষে আগামী বছরের মার্চে সিঙ্গাপুরের মাঠে শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

চূড়ান্ত রাউন্ডে পৌঁছানোর স্বপ্ন এখনো বেঁচে আছে। তবে তা বাস্তবে রূপ দিতে হলে প্রত্যেকটি ম্যাচকেই ‘ফাইনাল’ হিসেবে নিতে হবে জামাল ভূঁইয়াদের। অনুশীলন, কৌশল ও মানসিক দৃঢ়তার দিক থেকে উন্নতি না ঘটালে এই স্বপ্ন অধরাই থেকে যেতে পারে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ও একট

এছাড়াও পড়ুন:

সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'

সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'

আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।

থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।

অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন।  আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।

মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ