যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। লন্ডনে দুই দিনব্যাপী প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকের পর বুধবার (১১ জুন) ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দেন।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “চীনের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়ে গেছে, এখন কেবল প্রেসিডেন্ট শি ও আমার চূড়ান্ত অনুমোদন বাকি।”

আরো পড়ুন:

ইরান উত্তেজনার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন কর্মী সরানোর নির্দেশ ট্রাম্পের

এবার টেক্সাসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন

তিনি বলেন, “চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র পাবে মোট ৫৫ শতাংশ শুল্ক সুবিধা, আর চীন পাবে ১০ শতাংশ।”

এছাড়া চীনের সঙ্গে আরো দুটি বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে বলেও জানান ট্রাম্প। আর তা হলো: চীন যুক্তরাষ্ট্রকে চুম্বক ও বিরল খনিজ সরবরাহ করবে। আর যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের অনুমতি দেবে।

ট্রাম্প আরো বলেন, “দুই দেশের সম্পর্ক দারুণ!”

পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে চীনের বাজার আরও বেশি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত করা যায়। তার ভাষায়, “এটি উভয় দেশের জন্যই একটি বড় জয় হবে!”

বাণিজ্যযুদ্ধ অবসানে লন্ডনের ল্যাঙ্কাস্টার হাউজে সোম ও মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিনিধিস্তরের বৈঠক হয়। তার পরেই ট্রাম্প চুক্তি হওয়ার ঘোষণা দিলেন।

গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতি ঘোষণার করার পর চীনের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দিয়েছিল।

এ পরিস্থিতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গত মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় শুল্ক ও বাণিজ্য নিয়ে দু’পক্ষের বৈঠক হয়েছিল।

এবারের লন্ডনের বৈঠকে সেই জেনেভা বৈঠকে হওয়া সমঝোতা বাস্তবায়নেরই কাঠামো বা রূপরেখায় পৌঁছেছে দুই পক্ষ- বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লাটনিক। তিনি বলেন, “দুই দেশের প্রেসিডেন্ট অনুমোদন করলে, আমরা এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।”

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আইআরজিসির বিমানবাহিনীর প্রধান নিহত

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ইরানে আগের রাতে চালানো বিমান হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের বিমানবাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ নিহত হয়েছেন।

আইডিএফ দাবি করেছে, ইসরায়েলে হামলার প্রস্তুতি নিতে হাজিজাদেহ ও তাঁর শীর্ষ সহকর্মীরা একটি ভূগর্ভস্থ কমান্ড সেন্টারে বৈঠক করছিলেন। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে চালানো হামলায় পুরো সেন্টারটি ধ্বংস হয়ে যায়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের ড্রোন ইউনিট ও আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটের শীর্ষ কমান্ডাররা রয়েছেন।

আইডিএফের দাবি, ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার মূল নেতৃত্বে ছিল আইআরজিসির বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী। তারা গত বছরের এপ্রিল ও অক্টোবরে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালিয়েছিল।

আরও পড়ুনকয়েক দশকের ছায়া যুদ্ধ থেকে এবার প্রকাশ্য সংঘাতে ইসরায়েল ও ইরান৩ ঘণ্টা আগে

ইসরায়েলের দাবি, ২০১৯ সালে সৌদি আরবে জ্বালানি স্থাপনায় আলোচিত ড্রোন হামলার নেতৃত্ব দেন আইআরজিসির এই কর্মকর্তারা।

তেহরান টাইমসের এক প্রতিবেদনে আমির আলী নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, এই হামলাকে ‘নৃশংস ও সন্ত্রাসী তৎপরতা’ বলে আখ্যায়িত করেছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড। ১৬ বছর ধরে আইআরজিসির বিমানবাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন হাজিজাদেহ। ইরানের সামরিক কৌশলের অন্যতম প্রধান পরিকল্পকারী ছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সক্ষমতা অভূতপূর্ব মাত্রায় পৌঁছায়।

আইআরজিসির বিবৃতিতে এ হামলাকে ‘ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রতিশোধের অঙ্গীকার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই অপরাধ আমাদের জাতিকে দুর্বল করবে না, বরং প্রতিশোধের সংকল্প আরও দৃঢ় করে তুলবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ