স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর একই ছুরিতে স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা
Published: 12th, June 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় একটি বসতঘর থেকে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নলকা ইউনিয়নের এরান্দহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, স্ত্রীকে হত্যার পর নিজেও গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী।
নিহত নারীর নাম রোজিনা খাতুন (৩০)। তিনি একই গ্রামের মাংস ব্যবসায়ী আবদুল আজিজের মেয়ে। রোজিনার স্বামীর নাম মোতালেব হোসেন (৪৫)। তিনি উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের বামনভাগ গ্রামের বাসিন্দা ও রোজিনার দ্বিতীয় স্বামী। বিয়ের পর থেকে তিনি শ্বশুরবাড়ি এরান্দহ গ্রামে থাকতেন ও শ্বশুরের সঙ্গে ব্যবসা করতেন। রোজিনা ও মোতালেব দম্পতির আট মাস বয়সী এক মেয়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দাম্পত্য কলহের জেরে গতকাল রাত তিনটার দিকে নিজেদের বসতঘরে রোজিনাকে গলা কেটে হত্যা করেন তাঁর স্বামী মোতালেব। পরে একই ছুরি দিয়ে তিনি নিজের গলা কাটার চেষ্টা করেন। আহত অবস্থায় মোতালেবকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জের এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একই হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য রোজিনার মরদেহ পাঠানো হয়েছে।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, এ ঘটনায় মামলা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হত য র
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুরে মহানবী (সা.)–কে কটূক্তির অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার, ১৪টি বসতঘর ভাঙচুর
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তির অভিযোগে এক কিশোরকে (১৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় উত্তেজিত লোকজন গতকাল শনিবার রাতে ও আজ রোববার বিকেলে ওই কিশোরের বাড়িসহ সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজনের ১৪টি বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে।
আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার কিশোর একটি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তৃতীয় পর্বের শিক্ষার্থী। বাড়ি গঙ্গাচড়ার বেদগাড়ি ইউনিয়নের একটি গ্রামে।
গঙ্গাচড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল এমরান প্রথম আলোকে বলেন, ওই কিশোর ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর লেখা ও ছবি দিয়েছে—এমন অভিযোগ পায় পুলিশ। পরে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আটক করে রাত সাড়ে আটটার দিকে থানায় আনা হয়। পরে সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই কিশোরকে থানায় নেওয়ার পর তার বিচারের দাবিতে মিছিলসহ উত্তেজিত লোকজন তার বাড়ির সামনে যায়। রাত ১০টার দিকে দ্বিতীয়বার আরেকটি মিছিল এসে কিশোরের এক স্বজনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। পরে রাতে থানা-পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওসি আল এমরান বলেন, গতকাল রাত ১২টা থেকে একটা পর্যন্ত পুলিশ ছিল। পরিস্থিতি শান্ত করার পর তাঁরা চলে আসেন। আজ জোহরের নামাজের পর হাজার হাজার লোক সেদিকে যাবেন—এমন খবর পেয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং তাঁরা সেনাবাহিনীর সাহায্য চান। বেলা একটা থেকে পুলিশ সেখানে অবস্থান নেয়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উত্তেজিত জনতা বাড়িঘরে হামলা শুরু করলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর হয়। এতে পুলিশ সদস্যদের অনেকে আহত হয়েছেন। একজন কনস্টেবলকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আলদাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। সেখান থেকে ৫০০ গজ দূরে বাড়িঘরে হামলা করছে উত্তেজিত জনতা। কিছুক্ষণ পর সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, অন্তত ১৪টি বসতঘরে ভাঙচুর করা হয়েছে।
মিছিল নিয়ে এসে মোট ১৪টি বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। রোববার বিকেলে গঙ্গাচড়া উপজেলার আহলাদপুর গ্রামে