ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠকে অচলাবস্থার অবসান হবে
Published: 12th, June 2025 GMT
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, শুক্রবার লন্ডনে তাদের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখন দেশে নির্বাচনী তফসিল নিয়ে একটা অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বৈঠকে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে এই অচলাবস্থার অবসান হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছি। বৃহস্পতিবার সমকালকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি তোলা হয়েছে। এর মানে নির্বাচন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে এমনটা নয়। যুক্তিসঙ্গত কারণে সেটা আরও ১৫ দিন বা এক মাস পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে। কিংবা আরেকভাবে বললে সরকার ঘোষিত এপ্রিল থেকে আরও ২-১ মাস এগিয়ে আনা যেতে পারে। কিন্তু সেটাও সকল দলকে আস্থায় নিয়ে একটা সমঝোতার ভিত্তিতে হতে হবে। লন্ডনের বৈঠকে এ বিষয়টিতেও একটা সমঝোতার পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, একইভাবে সংস্কার ও বিচার প্রসঙ্গটিও বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসবে বলেই মনে করছে। এসব বিষয়েও দুই নেতা একটি সমঝোতায় পৌঁছাবেন এবং জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এমনটাই বিশ্বাস করি। সব মিলিয়ে সংস্কার, নির্বাচন ও বিচার বিষয়ে জাতির আকাঙ্খা পূরণের একটি সুযোগ মিলেছে এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে। তাঁরা এই সুযোগটিকে গ্রহণ করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড ইউন স ত র ক রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফারাবীর জামিন
ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শফিউর রহমান ফারাবী অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ জামিন দেন।
বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন ফারাবী। ২০২২ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। বিচারাধীন আপিলে জামিন চেয়ে আবেদন করেন ফারাবী, যা আজ আদালতের কার্যতালিকায় ১৭৯ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
আদালতে ফারাবীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মুহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম খান শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. এমরান খান।
পরে আইনজীবী মুহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১৫ সালের ৩ মার্চ থেকে কারাগারে আছেন ফারাবী। ফারাবী ১৬৪ ধারায় কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। মামলায় চারজন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁদের কেউই ফারাবীর নাম উল্লেখ করেননি। তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কোনো সাক্ষীর বক্তব্যেও তাঁর নাম আসেনি। এসব যুক্তিতে ফারাবীর জামিন চাওয়া হয়। বিচারাধীন আপিলে ফারাবীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।’
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় অভিজিৎকে। হামলায় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদও গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এই মামলায় ২৮ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।
এই মামলায় ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান রায় দেন। রায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক আসামিকে (শফিউর রহমান ফারাবী) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই হাইকোর্টে আপিল করেন ফারাবী।