ভারতের আহমেদাবাদের কাছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতিটি পরিবারকে ১ কোটি রুপি সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে টাটা গ্রুপ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন। খবর ইকোনমিক টাইমস ও বিবিসির।

এয়ার ইন্ডিয়া টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় বহন করবে টাটা গোষ্ঠী। পাশাপাশি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বি জে মেডিকেল কলেজের হোস্টেল পুনর্নির্মাণেও সহায়তা দেবে তারা।

এক্স (সাবেক টুইটার)-এ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে চন্দ্রশেখরন বলেন, ‘এই শোকের মুহূর্তে কোনো শব্দই যথেষ্ট নয়। আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’

আজ বৃহস্পতিবার ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। ওই বিমানে ২৪২ যাত্রী ছিলেন। বিমানটি ছিল বোয়িংয়ের তৈরি ড্রিমলাইনার। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি যুক্তরাজ্যের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। উড্ডয়নের পরপরই এটি লোকালয়ে একটি হাসপাতাল ভবনে বিধ্বস্ত হয়।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হতাহত মানুষের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানায়নি কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে। তবে দু–একজন ছাড়া বিমানে থাকা আর কেউ বেঁচে নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, তারা দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে এবং নিয়মিত হালনাগাদ তথ্য তারা ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করবে।

১৯৩২ সালে জেআরডি টাটার হাত ধরে যাত্রা শুরু করে ভারতের প্রথম বেসরকারি বিমান সংস্থা ‘টাটা এয়ার সার্ভিসেস’, যা পরে হয়ে ওঠে এয়ার ইন্ডিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৫৩ সালে ভারত সরকার এয়ারলাইনসটি জাতীয়করণ করে এবং এটি হয়ে ওঠে দেশের জাতীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থা।

দীর্ঘ সাত দশক সরকারি নিয়ন্ত্রণে থাকার পর এয়ার ইন্ডিয়াকে আবারও টাটা গ্রুপের হাতেই তুলে দেওয়া হয়। ২০২২ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় ১৮ হাজার কোটি রুপিতে এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা আবার টাটা গ্রুপের কাছে হস্তান্তর করে। মালিকানা ফিরে পাওয়ার পর টাটা গ্রুপ এয়ার ইন্ডিয়াকে আধুনিকীকরণ, পরিষেবা উন্নয়ন এবং গ্রাহকের আস্থা ফেরানোর কাজ শুরু করে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ঘটন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচিত সরকার এলে বিনিয়োগকারীরা আস্থা পাবেন: ডিসিসিআইয়ের সভাপতি

জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সমঝোতা হওয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, নির্বাচিত সরকার এলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আস্থা পাবেন। তাঁরা নতুন বিনিয়োগের বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা শুরু করবেন।

লন্ডনে আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি কথাগুলো বলেন।

আজ শুক্রবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই বৈঠক শেষে দুই পক্ষের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারেক রহমানের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সব প্রস্তুতি শেষ করা গেলে ২০২৬ সালে পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও (ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে) নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।

এই বৈঠকের পর প্রথম আলোর পক্ষ থেকে জানতে চাইলে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা সব সময় ব্যবসা ও রাজনীতিকে আলাদা রাখতে চাই। দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল পরিবেশ দরকার। রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশটাও ঠিক থাকে।’

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে একটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনীতি চাপে আছে। নির্বাচন নিয়ে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানের কারণে সংকট আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সেই শঙ্কা কিছুটা দূর হয়েছে।

তাসকিন আহমেদ আরও বলেন, ‘সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, অর্থনীতিকে বেগবান করতে কার্যকর উদ্যোগ নিন। প্রথমেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করুন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ