মিরপুরে ‘মবের’ শিকার পুলিশ কর্মকর্তা
Published: 13th, June 2025 GMT
রাজধানীর মিরপুরে বাজার করতে গিয়ে মাসুদুর রহমান নামের একজন পুলিশ পরিদর্শক ‘মবের’ শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে মারধর করে নগদ টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। পরে মিরপুর থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রাতে যোগাযোগ করা হলে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ রোমন প্রথম আলোকে বলেন, বেলা ১১টার দিকে পুলিশ পরিদর্শক মাসুদুর রহমান মিরপুর–৬ নম্বর সেকশনের কাঁচাবাজারে যান। এ সময় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের একদল নেতা–কর্মী তাঁকে মারধর করে তাঁর কাছ থেকে মুঠোফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেন। খবর পেয়ে মিরপুর থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে এবং জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনাস্থল পল্লবী থানার আওতায় হওয়ায় পরে তাঁদের সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মাসুদুর রহমান ২০১৭ সালের আগে পুলিশের মিরপুর বিভাগের বিভিন্ন থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সে কারণে তাঁকে স্থানীয় লোকজন চেনেন। পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তিনি রাজবাড়ীর দুটি থানায় ওসি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি এখন ফরিদপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। তবে তাঁর পরিবার ঢাকার পল্লবীতে থাকে। সে জন্য তিনি ফরিদপুর থেকে মাঝেমধ্যে ঢাকায় আসেন।
রাতে এ বিষয়ে জানতে পল্লবী থানার ওসি শফিউল আলমের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুরে হামলার ঘটনায় পাঁচজন গ্রেপ্তার: পুলিশ
রংপুরের গঙ্গাচড়ার আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামে ধর্ম অবমাননাকে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
আজ বুধবার সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুনরংপুরে হামলার দুই দিন পরও মামলা হয়নি, প্রশাসনের উদ্যোগে বসতবাড়ি মেরামত২২ ঘণ্টা আগেপুলিশ জানায়, এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন একজন ভুক্তভোগী। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরে যৌথ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আলদাদপুর গ্রামটি হিন্দু অধ্যুষিত। এটি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের সীমানা লাগোয়া। গঙ্গাচড়া থানা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার গ্রামটির এক কিশোর ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে অবমাননাকর লেখা ও ছবি পোস্ট করেছে, এমন অভিযোগ পায় পুলিশ। পরে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আটক করে শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে থানায় আনা হয়। সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করে পরদিন রোববার দুপুরে ওই কিশোরকে আদালতের মাধ্যমে সম্মিলিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনগঙ্গাচড়ায় হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা মানবাধিকারের লঙ্ঘন, বিচার দাবি১৪ ঘণ্টা আগেপুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই কিশোরকে থানায় নেওয়ার পর তার বিচারের দাবিতে মিছিলসহ উত্তেজিত লোকজন শনিবার তার বাড়ির সামনে যায়। রাত ১০টার দিকে দ্বিতীয়বার আরেকটি মিছিল এসে কিশোরের এক স্বজনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। পরে রাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন২২টির মধ্যে ১৯টি পরিবার বর্তমানে নিজেদের বাড়িতে আছে: জেলা প্রশাসক২৯ জুলাই ২০২৫স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উত্তেজিত জনতা আবারও বাড়িঘরে হামলা শুরু করলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। এতে পুলিশের একজন কনস্টেবল গুরুতর আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রশাসনের হিসাবে, এ ঘটনায় ১৫টি বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
আরও পড়ুনরংপুরে হামলার শিকার পরিবারগুলো আতঙ্কে, বাড়ির মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে২৮ জুলাই ২০২৫