ইরানে হামলার পর অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেওয়া হলো নেতানিয়াহুকে: ইরনার প্রতিবেদনে দাবি
Published: 13th, June 2025 GMT
ইরানের রাজধানী তেহরানসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে আজ শুক্রবার ভোররাতে বিমান হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনার এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ইরনার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তেহরানের বিরুদ্ধে হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অজ্ঞাত কোনো স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সম্ভবত তাঁকে গ্রিসে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম নেতানিয়াহুর উড়োজাহাজের একটি ছবি প্রকাশ করে। ছবিতে অধিকৃত এলাকার বাইরে দুটি জঙ্গি বিমানের পাহারায় নেতানিয়াহুর উড়োজাহাজকে অজ্ঞাত গন্তব্যের দিকে চলে যেতে দেখা গেছে।
ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল১২ জানিয়েছে, বিমানটি গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে অবতরণ করেছে।
আজ ভোররাতে ইসরায়েল তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন শহরে একের পর এক সামরিক হামলা চালায়।
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, খাতাম আল-অনবিয়া সদর দপ্তরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলী রশিদসহ অন্তত ২০ জন শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এ হামলার প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবেশবান্ধব পর্যটনে সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
সিলেটের জাফলংসহ দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবাহী এলাকাগুলোতে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকো-ট্যুরিজম) উন্নয়নে একটি সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, পাথর উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত শ্রমজীবী মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করাই এই মহাপরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য।
আজ শনিবার দুপুরে জাফলং এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। এ সময় পাথর কোয়ারির শ্রমিকরা তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানান।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের মধ্যে সমন্বয় করে প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।
রিজওয়ানা বলেন, জাফলং একটি পরিবেশগতভাবে বিপন্ন এলাকা। এখানে পাথর উত্তোলনের জন্য আর কোনো ইজারা দেওয়া হবে না। অতিরিক্ত পাথর ও বালু উত্তোলনের কারণে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে পুরো নদীব্যবস্থাকে হুমকিতে ফেলছে।
জাফলংয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় ওই এলাকার স্টোন ক্রাশারগুলোও সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, অবৈধভাবে কেউ যাতে পাথর উত্তোলন করতে না পারে, তা নিশ্চিত করা হবে। জাফলংয়ের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমরা কোনো আপস করব না।
পরিদর্শনের সময় দুই উপদেষ্টা জাফলংয়ের নদী ও পাথরভরা প্রাকৃতিক এলাকা জলযানে ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিবেশ ও পর্যটন উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় করেন। তারা জাফলং স্টোন মিউজিয়াম ও হরিপুর রেস্ট হাউজ এলাকায় গাছের চারা রোপণ করেন।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, জেলা প্রশাসক মো. শের মাহবুব মুরাদ, পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার।