দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আরও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৪ জুন) ভোর সোয়া ৩টার দিকে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের ঘোড়াঘাট উপজেলার নূরজাহানপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজমুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে আমবোঝাই কয়েকটি ট্রাক দাঁড়িয়েছিল। ভোর সোয়া ৩টার পর পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন থেকে একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচ জন নিহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে। এছাড়াও চিকিৎসার জন্য আহতদের মধ্যে পাঁচ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা/মোসলেম/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২৫ বছর পর অক্ষত মরদেহ!
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় দাফনের প্রায় ২৫ বছর পর একটি মরদেহ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় এক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
শনিবার দুপরে উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরের হাট এলাকায় ফকিরের হাট হাফিজিয়া আলিম মাদরাসার নির্মাণকাজের জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, সরকারি অর্থায়নে ফকিরেরহাট হাফিজিয়া আলিম মাদরাসার একটি ভবন নির্মাণের করার জন্য মাদরাসার মাঠের মাটি ভেক্যু দিয়ে খনন করা হচ্ছিল। এ সময় খনন করা জায়গায় মাটি ভেঙে পড়লে সেখানে সাদা কাপড়ে মোড়ানো লাশটি বের হয়ে আসে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা মরদেহটি উদ্ধার করেন। পরে স্থানীয় আলেমদের পরামর্শে সেখান থেকে মরদেহটি তুলে নিয়ে ফকিরের হাট এলাকার মসজিদের পাশে একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মৃত ব্যক্তির নাম বাহের আলী। তিনি খারুয়ার পাড় গ্রামের আতিম শেখের ছেলে। আতিম শেখ ওই মাদরাসার জমিদাতা ছিলেন এবং তিনি ওই মাদরাসার কর্মরত ছিলেন। প্রায় ২৫ বছর আগে মারা গেলে মাদসার পেছনে তাকে দাফন করা হয়েছিল।
এ সব তথ্য নিশ্চিত করে চিলমারী মডেল মসজিদের খতিব মামুনুর রশীদ বলেন, হাদিস ও নবী রাসূলদের ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে জানা যায় যারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও শহীদী মর্যাদা লাভ করেন তাদের লাশ অক্ষত অবস্থায় থাকে। তবে অক্ষত থাকলেই শতভাগ প্রিয় বান্দা হবে সেটিও নিশ্চিত নয়। এ ব্যাপারে আল্লাহ ভালো জানেন।