ফ্রিজের তারে কোদালের কোপ লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু
Published: 14th, June 2025 GMT
পাবনার চাটমোহরে ঘরের মেঝেতে কোদাল দিয়ে কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত ফ্রিজের তারে কোপ লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আনোয়ার হোসেন রতন (২২) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের মেঘারপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আনোয়ার হোসেন রতন ওই গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে ও ফৈলজানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে আনোয়ার হোসেন রতন কোদাল দিয়ে তার বসত ঘরের মাটির মেঝে সমান করার কাজ করছিলেন। এ সময় অসাবধানবশত ফ্রিজের তারে কোদালের কোপ লাগলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। গুরুতর অবস্থায় স্বজনরা উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় শরৎগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি সবাইকে সাবধান ও সতর্কাবস্থায় কাজ করার পরামর্শ দেন।
ঢাকা/শাহীন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খামেনি ও পেজেশকিয়ানকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরায়েল। নিউইয়র্ক টাইমস শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের রাজধানী তেহরানের পাস্তুর এলাকায় এই হামলার চেষ্টা হয়। ওই এলাকাতেই অবস্থান করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ও সর্বোচ্চ নেতা। হামলা প্রতিহত করতে ইরানি সেনাবাহিনী ব্যাপকভাবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করছে।
পাস্তুর এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, হামলার আশঙ্কায় সেখানে নিয়মিতভাবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে মিসাইল ছোড়া হচ্ছে। তাদের মতে, এসব ব্যবস্থা কার্যকরভাবে মোতায়েন করা হয়েছে যেন ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র কোনোভাবেই ওই এলাকায় আঘাত হানতে না পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানের শীর্ষ নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে সরাসরি হামলার এই চেষ্টা মধ্যপ্রাচ্যের সংকটকে আরও ঘনীভূত করতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত ইসরায়েল সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার বিষয়টি স্বীকার করেনি, তবে পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
শুক্রবার ভোরে ইরানের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হামলা চালায় ইসরায়েল। এর পর সারাদিনই দেশটিতে হামলা অব্যাহত রাখে তারা। ভয়াবহ এ হামলায় ইরানের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামিসহ অন্তত ২০ জ্যেষ্ঠ কমান্ডারকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ অবস্থায় ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই বাহিনীটির নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
দায়িত্ব নিয়েই ইসরায়েলের উদ্দেশে কঠিন হুঁশিয়ারি দেন নতুন আইআরজিসিপ্রধান। তিনি বলেন, ইসরায়েলি হামলার জবাবে শিশু হত্যাকারী জায়নবাদী শাসকের জন্য শিগগিরই জাহান্নামের দরজা খুলে যাবে।
নতুন আইআরজিসিপ্রধানের এ বার্তার কয়েক ঘণ্টা না যেতেই ইসরায়েলে মিসাইল হামলা শুরু করে ইরান। স্বল্প সময়ের মধ্যে তিন দফায় মিসাইল হামলা করেছে তেহরান, যেখানে প্রথম দফায় ছোড়া হয়েছে শতাধিক মিসাইল। ইরানি কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামের’ এ অভিযানে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এরই মধ্যে কয়েকশ মিসাইল ছোড়া হয়েছে। ইরানের এ হামলার পরই মূলত নতুন করে আবারও হামলা শুরু করে ইসরায়েল।