কিছু ব্যাংক একীভূত হবে, কর্মীদের আতঙ্কের কিছু নেই: গভর্নর
Published: 15th, June 2025 GMT
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, কিছু ব্যাংক একীভূত হবে। এতে কর্মীদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। কেননা এক জায়গায় শাখা বন্ধ হবে। আরেক জায়গায় হয়তো শাখা খোলা হবে। ব্যাংক একীভূতকরণের বিষয়টি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আলাদা একটি বিভাগই খোলা হচ্ছে। যাদের কাজ হবে যদি কোনো ব্যাংক নিজেদের ধ্বংসের পথে নিয়ে যায় আগেই ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকারিকরণের মাধ্যমে একীভূতকরণ বা অধিগ্রহণ করা হবে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের আগে একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শেষ হবে কিনা এমন প্রশ্নে গভর্নর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকার মিলে একীভূতকরণ করে থাকে। এ জন্য অর্থের দরকার হয়। তা সরকার দিয়ে থাকে। সরকার পরিবর্তন হবে। তবে আমরা আশা করব, তারাও এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে। এই প্রক্রিয়াকে তারা চলমান রাখবে।
তিনি বলেন, একীভূতকরণের সঙ্গে সরকার পরিবর্তনের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। অর্থনীতিকে সচল রাখতে হবে, ব্যাংক খাতকে শক্তিশালী রাখতে হবে। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যখন যেখানে হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন তা করবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রক র য় এক ভ ত সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের আগেই পাঁচ ব্যাংক এক হবে: গভর্নর
বেসরকারি খাতের পাঁচ ইসলামী ব্যাংককে একীভূত (মার্জার) করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে এই একীভূতকরণের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি, আগামী সরকারও এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হবে।’
আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ব্যাংককর্মীদের আশ্বস্ত করেন, এই একীভূতকরণের ফলে কোনো কর্মীকে চাকরি হারাতে হবে না।
গভর্নর বলেন, কর্মীদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজনে কিছু শাখা পুনর্বিন্যাস করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহর এলাকায় বেশি, সেগুলোর কিছু শাখা গ্রামাঞ্চলে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
এ সময় পাচার করা সম্পদ উদ্ধার করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন গভর্নর। তিনি বলেন, ‘সম্পদ উদ্ধারের বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়ার প্রক্রিয়া। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া এসব অর্থ উদ্ধার সম্ভব নয়। এ জন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমরা চাই, আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক, আমাদের দাবি কতটা সঠিক। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।’
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরতের পথও খোলা আছে। সে ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজবেন। সরকার যে পথ নির্ধারণ করবে, আদালত কিংবা এডিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংক সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে।
গভর্নর আরও বলেন, দেশীয় সম্পদ উদ্ধারে দেশের আদালতে এবং বিদেশি সম্পদ উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা পরিচালনার প্রস্তুতি চলছে।